Primary Recruitment Scam: ‘বঞ্চিতদের একটা সুযোগ দেওয়া যায়?’ প্রাথমিক পর্ষদের কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি সিনহা
Justice Amrita Sinha: বিচারপতির মন্তব্য, "একটি স্ক্যাম প্রকাশ্যে এসেছে। অন্তত এদের কিছু সুযোগ দেওয়া হোক। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েও কি তাঁদের নিযুক্ত করা যায় না?"
কলকাতা: অযোগ্যদের চাকরি হয়েছে বলে রাস্তায় নেমে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ। ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগে অংশ নিয়েছিলেন এমন অনেক চাকরি প্রার্থীও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর। সেই ‘বঞ্চিত’দের সুযোগ দেওয়া যায় কি না, এবার সেই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কেউ জানে না কবে তদন্ত শেষ হবে। আইনি জটিলতা বাড়ছে। তাই একটা সমাধান হোক। যাঁদের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রেই বা কী হবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। আগামী শুক্রবারের মধ্যে প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। প্রাথমিকে কত শূন্যপদ আছে সেটাও জানাতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চান কতগুলি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। পর্ষদ মাত্র ৯৬ টি বেআইনি নিয়োগের কথা বলায় অবাক হন তিনি। বোর্ডের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই ৯৬ জন টেট পরীক্ষার সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। সবাইকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছে বোর্ড।
বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “প্রাথমিক স্কুলে মোট কটি শূন্য পদ আছে? যাঁরা নিজেদের বঞ্চিত মনে করছেন, তাঁদের জন্য কি আর একটা সুযোগ দেওয়া যায়?” বিচারপতির মন্তব্য, “একটি স্ক্যাম প্রকাশ্যে এসেছে। অন্তত এদের কিছু সুযোগ দেওয়া হোক। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েও কি তাঁদের নিযুক্ত করা যায় না?”
বোর্ডের তরফে আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত জানান, ২০২২-এ প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে, কিন্তু সেখানে এরা কেউ অংশই নেননি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন করেন, সে ক্ষেত্রে বয়সের কী হবে? বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এবার এই বিতর্কের শেষ হোক। যাঁদের বয়স চলে গিয়েছে, পরীক্ষায় অংশ নিতে চাননি, তাঁদের একটা ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ। বোর্ড এবিষয়ে সহানুভূতিশীল হয়ে কাজ করবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, বোর্ড প্যানেল প্রকাশ করুক। তারপর বেআইনিভাবে নিযুক্তদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক আদালত। ৩০ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।