Soumendu Adhikari: তদন্তে সহযোগিতা করলে কড়া পদক্ষেপ নয়, তবে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে FIR খারিজ হবে না: হাইকোর্ট
Soumendu Adhikari: কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানের বাস্তুর চরিত্র বদল করে শ্মশানের জমিতে স্টল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা: রাঙামাটি শ্মশান দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে অস্বস্তিতে সৌমেন্দু অধিকারী। এফআইআর খারিজের আবেদনে সাড়া দিল না হাইকোর্ট। তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে পুলিশ। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন সৌমেন্দু, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশে জানিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়।
কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানের বাস্তুর চরিত্র বদল করে শ্মশানের জমিতে স্টল তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে অভিযোগ, সেই স্টল লাখ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেই টাকা পুরসভার কোষাগারে জমা পড়েনি বলে অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। দুর্নীতিতে নাম জড়ায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর।
মঙ্গলবার আদালতে ছিল সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। এদিন আদালতের নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে, তদন্তের যে পর্যায়ে তদন্তকারী সংস্থার মনে হবে যে সৌমেন্দু অধিকারী সহযোগিতা করছেন না তৎক্ষণাৎ তাঁকে লিখিতভাবে শোকজ করতে হবে। তার ঠিক পর ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবেন সৌমেন্দু। সৌমেন্দু অধিকারীর জিজ্ঞাসাবাদ এবং সাক্ষ্য গ্রহণ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান সুবল মান্না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সুবল মান্নার অভিযোগ ছিল, যে সময় এই দুর্নীতি হয়, সে সময় কাঁথি পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম জড়ায় সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপকুমার বেরা, ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারীর। কাঁথি পুলিশ তদন্তে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দিলীপকুমার বেরা ও সতীনাথ দাস অধিকারীকে গ্রেফতারও করে। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু অধিকারী।