AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kamakhya Temple: প্রস্রবণ সব সময় ভিজিয়ে রাখে মায়ের যোনিদেশ, শিহরণ জাগায় কামাখ্যার ইতিহাস

Kamakhya Temple: গোটা অঞ্চল ধ্বংস করেছিলেন গৌড়ের রাজা কালাপাহাড়, দীপাবলিতে নতুন রূপে সেজে উঠছে কামাখ্যা। অম্বুচির সময় প্রচুর ভক্ত সমাগম হলেও দীপাবলির সময়েও ভিড় জমান বহু মানুষ। পুরাণে বর্ণিত আছে, সতীর যোনি পড়েছিল এখানে। সেখান থেকেই এই মন্দির। মন্দিরের তিনটি গম্বুজ। এখানেই অবস্থান মা কামাখ্যার।

| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2023 | 6:53 PM
Share

কলকাতা: রাত পোহালেই কালীপুজো। তার আগে সেজে উঠছে গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দির (Kamakhya Temple)। ৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম কামাখ্যা। এই শক্তিপীঠকে তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠস্থান হিসাবে ধরা হয়। গুয়াহাটি শহর থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে নীলাচল পাহাড়ে অবস্থান কামাখ্যা মন্দিরের। অম্বুচির সময় প্রচুর ভক্ত সমাগম হলেও দীপাবলির সময়েও ভিড় জমান বহু মানুষ। পুরাণে বর্ণিত আছে, সতীর যোনি পড়েছিল এখানে। সেখান থেকেই এই মন্দির। মন্দিরের তিনটি গম্বুজ। এখানেই অবস্থান মা কামাখ্যার। মন্দিরের ভিতরে অনেকটা নিচুতে বয়ে চলা প্রস্রবণ সব সময় ভিজিয়ে রাখে মায়ের যোনিদেশ। কাম পিঠ নামে পরিচিত এই অঞ্চল । 

ইতিহাস বলছে, গৌড়ের রাজা কালাপাহাড় ১৫০০ খ্রিস্টাব্দে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন এই গোটা অঞ্চল । এরপর কোচ রাজবংশের রাজা বিশ্ব সিংহ দখল করেন কামরূপ প্রদেশ। তিনি খুঁজে পান ধ্বংস হয়ে যাওয়া মা কামাখ্যার অস্তিত্ব। তার দুই ছেলে নরনারায়ণ ও চিলারায় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে খনন কার্য চালিয়ে উদ্ধার করেন মা কামাখ্যাকে। আজকের এই মন্দির কোচ রাজারা তৈরি করে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে । 

রয়েছে আরও অনেক ইতিহাস। শোনা যায়, কোচ রাজারা কামাখ্যার মন্দির স্থাপন করলেও কিছুদিনের মধ্যেই  অভিশাপ নেমে আসে তাদের ওপর। এরপর থেকে কোচ রাজবংশের কোনও রাজা আর কামাখ্যা দর্শন করতে পারতেন না।