বিলেতি ভাষায় ‘স্মার্টলি ডিল’, টাকা হাতিয়েই ‘নট রিচেবল’! নিউটাউনের বুকে ভুয়ো কল সেন্টার

Newtown Fake Call Center: নিউটাউন থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই আবাসনে হানা দেয়। তাঁরা বৈধ কল সেন্টারের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

বিলেতি ভাষায় 'স্মার্টলি ডিল', টাকা হাতিয়েই 'নট রিচেবল'! নিউটাউনের বুকে ভুয়ো কল সেন্টার
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 05, 2021 | 12:25 PM

কলকাতা: অচেনা নম্বর থেকে ফোন! কথা বলতেন সুমিষ্ট বাগ্মী! মেডিক্যাল বিমার যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য থাকত তাঁদের হাতের মুঠোয়! আর মানুষকে বোঝানোর পারদর্শিতাই ছিল তাঁদের ‘এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটি’! এইভাবেই স্রেফ ফোন করেই মেডিক্যাল ইনসিওরেন্স করানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল (Newtown Fake call Center)। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হদিশ পেল এই ভুয়ো কল সেন্টারেও।

বৃৃহস্পতিবার নিউটাউনের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিউটাউন ‘গ্রিন উড এক্সটেনশন’ বিল্ডিংয়ে হানা দেন তদন্তকারীরা। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা কমলেশ কুমার আর্য-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিউটাউন থানার পুলিশ।

তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতরা দেশে ও দেশের বাইরে মেডিক্যাল ইন্স্যুরেন্স করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা চক্র চালাত। এরা মূলত ফোন করে প্রথমে মেডিকেল ইনসিওরেন্স করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতেন। এরপর ধাপে ধাপে তাঁদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হত। টাকা নেওয়ার পর তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতেন না।

নিউটাউন থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই আবাসনে হানা দেয়। তাঁরা বৈধ কল সেন্টারের কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ওই অফিস থেকে ৩টি ডেবিট কার্ড, ৭ টি মোবাইল ফোন, ১৪ টি ল্যাপটপ ও চেকবুক সহ কলসেন্টারের বহু জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের আজ বারাসাত আদালতে তোলা হবে। আর কে বা কারা জড়িত এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে নিউটাউন থানার পুলিশ।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পার্কস্ট্রিটে এভাবে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেখান থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। একটি বিশ্বখ্যাত সংস্থার নাম করে কল সেন্টার খুলেছিলেন ধৃতরা। সেখানেই পেতেছিলেন জালিয়াতির ফাঁদ। কম্পিউটার সারানো কিংবা বিভিন্ন গ্যাজেটস সারানোর নাম করে ইউকে-র বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করতেন তাঁরা। তারপর সরাসরি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে প্রতারণার জালে ফেলতেন।

নিজস্ব চিত্র

কসবা ভুয়ো টিকাকেন্দ্রের তদন্তে নেমে উঠে আসে মূল চক্রী দেবাঞ্জন দেবের নাম। এরপর শহর রাজ্য জুড়ে যেন একের পর এক ভুয়ো সরকারি আধিকারিক, সংস্থার নাম উঠে আসছে। এভাবে শহরের বুকে আরও অনেক ঠগ তাঁদের ব্যবসা পেতেছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। চলবে টানা তদন্ত। আরও পড়ুন: দেহাতি চলনবলন, গ্রাম্য় বুলি, বোরখার আড়ালে মুখ! বেছে বেছে ওঁদেরই টার্গেট করা হত কোটি টাকার ‘ব্যবসায়’