Suvendu Adhikari : ‘ছেড়ে দেওয়ার লোক নই’, ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগ উঠতেই হুঙ্কার শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari : “কত নিম্নমানের মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে এ ভাবে কলকাতা পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে। আমি সিপিকে বলেছি আমি কোনও বেআইনি পার্কিং করে থাকলে, আমার যদি ওভার স্পিড থাকে। তাহলে আপনি আমাকে সিসিটিভি ফুটেজ দিন। উনি এটা দিতে বাধ্য।” তোপ শুভেন্দুর।
কলকাতা: “আমার সিসিটিভি ফুটেজ চাই। নাহলে আমি বিনীত গোয়েলকে অনেক দূর নিয়ে যাব। তথ্য না দিলে আইনি লড়াইয়ে যাব।” ট্র্যাফিক আইন (Traffic Rules) ভাঙার অভিযোগ উঠতেই এ ভাষাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ১১টি ট্র্যাফিক আইন ভাঙার মামলা রয়েছে। ২০২১ সালের ৬ মে থেকে এখনও পর্যন্ত এই মামলাগুলি করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই জরিমানার টাকাও দিয়েছেন শুভেন্দু। তবে সেই সঙ্গে নগরপালের কাছে চিঠি দিয়ে চাইলেন প্রমাণ। সেই চিঠিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। যা নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে শুভেন্দুর দাবি, যে গাড়িগুলির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে সেগুলি তাঁর দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর। নগরপালকে যে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু তাতে তিনি সাফ লিখেছেন, “আমি বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া চাই। আমি বিশ্বাস করি স্বচ্ছতার সঙ্গে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করছেন। যাঁরা আইন ভাঙছেন তাঁদের রাজনৈতিক সত্ত্বা না দেখে, সরকার বা প্রশাসনে তাঁদের পদ না দেখে আশা করছি আপনি তাঁদের জরিমানা করছেন।”
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেন, বিনীত গোয়েলকে আমি অনেক দূর নিয়ে যাব। মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না চাকরি দিতে পারে না! আর আপনি ওই ১২০ টাকা দামের কম্বল দিতে যান। আপনাকে আমি দিয়েছি ১১ হাজার টাকা। আরও দেব। আরও ফাইন করুন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিয়ে বলেন, “কত নিম্নমানের মুখ্যমন্ত্রী না থাকলে এ ভাবে কলকাতা পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে। আমি সিপিকে বলেছি আমি কোনও বেআইনি পার্কিং করে থাকলে, আমার যদি ওভার স্পিড থাকে। তাহলে আপনি আমাকে সিসিটিভি ফুটেজ দিন। উনি এটা দিতে বাধ্য।” এরপরই ল্যাপটপ নিয়ে একটি ফুটেজ দেখাতে শুরু করেন শুভেন্দু। ফুটেজ দেখাতে দেখাতে তিনি বলেন, “এই ফুটেজ একজন তৃণমূল সাংসদের। এটা কাদাপাড়া বাইপাসে টিএমসি অফিস থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন কালীঘাট। তাঁর গাড়ির স্পিডটা দেখুন। পশ্চিমবাংলার লোক দেখুন। আমিও ছেড়ে দেওয়ার লোক নই।”
কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে লেখা এই চিঠিতে শুভেন্দু স্পষ্ট ভাষায় আরও লিখেছেন, ‘আমি যে গাড়িগুলিতে যাতায়াত করি সেগুলি চলাচলের সময় দ্রুত গতির সর্বোচ্চসীমা পার করেছে বলে আমাকে জরিমানা করা হয়েছে। আমি আপনাকে জানিয়ে রাখি এই সমস্ত গাড়ি সরকারের দেওয়া নয়। আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি যে সময় গাড়ির গুলির বিরুদ্ধে ওভার স্পিডিংয়ের অভিযোগ উঠেছে সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ দেখান। এর জন্য সরকারি আইন মোতাবেক কোনও চার্জ ধার্য করা হলে আমি তা দিতে প্রস্তুত। আপনার এই ফুটেজ দেখে আমি নিশ্চিত হলে আমি আবার ড্রাইভারকে এ বিষয়ে সতর্ক করতে পারব। একজন সচেতন নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী হিসাবে আমি আপনার কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য চাইছি।’