Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MAKAUT: ১৩ টা বই লিখেছেন, ঝুলিতে একাধিক ডিগ্রি, ১৪টা রিসার্চ পেপার! ছাত্রকে বিয়ের ভাইরাল ভিডিয়োর অধ্যাপিকার অতীত তাক লাগাবে

MAKAUT:অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে একাধিক ডিগ্রি-পুরস্কার। ইউজিসি-তে তাঁর গবেষণা রয়েছে একাধিক। অধ্যাপিকা, পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি করেছেন। গুরুনানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট পিজি ডিপ্লোমা।

MAKAUT: ১৩ টা বই লিখেছেন, ঝুলিতে একাধিক ডিগ্রি, ১৪টা রিসার্চ পেপার! ছাত্রকে বিয়ের ভাইরাল ভিডিয়োর অধ্যাপিকার অতীত তাক লাগাবে
অধ্যাপিকা পায়েল গঙ্গোপাধ্যায় Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2025 | 8:01 AM

কলকাতা:  তিনি অধ্যাপিকা। বলাই বাহুল্য, ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। পায়েল বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের একটি ভিডিয়ো ক্লিপিংস নিয়ে তিনি খবরের শিরোনামে। কারণ তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছেন প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। আর এই ভিডিয়ো নিয়ে এখন জোর চর্চা। উঠে এসেছে দু’ধরনের তত্ত্ব। শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে মনোবিদ-সকলেরই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এই অধ্যাপিকা অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত এবং গবেষক।

অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে একাধিক ডিগ্রি-পুরস্কার। ইউজিসি-তে তাঁর গবেষণা রয়েছে একাধিক। অধ্যাপিকা, পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড় থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি করেছেন। গুরুনানক দেব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট পিজি ডিপ্লোমা। অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে সাইকোলজিতে পিএইচডি করেন।

ইতিমধ্যেই অধ্যাপিকা  ১৩ টা বই লিখে ফেলেছেন। তাঁর ১৪ টা পেপার ইউজিসি-তে জমা রয়েছে।  ২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত একটি কোম্পানিতে বাইকার্স ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট কাউন্সিলর,  নিউ দিল্লিতে ৬ মাস সুুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে সাইকোলজিস্ট ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করেন। তিন মাস কলকাতার একটি ইন্সস্টিটিউশনে স্কুল কাউন্সিলর হিসাবে, ২ বছর ১০ মাস একটি নামী স্কুলে সাইকোলজির শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। কলকাতার নামজাদা গ্রুপে শিক্ষকতাও করেন। এরপর ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে ম্যাকাউটে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে কর্মরত।

ইতিমধ্যেই তাঁর ঝুলিতে জমেছে বিভিন্ন পুরস্কার। ইয়াং অ্যাচিভার এওয়ার্ড, রিসার্চ এক্সিলেন্স পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ইন্ডিয়ান স্কুল সাইকোলজি অ্যাসোসিয়েশন ও  ইন্ডিয়াং সায়েন্স কংগ্রেসের সদস্য তিনি।

অধ্যাপিকা সামাজিক মাধ্যমে লাইভে এসেও নিজের সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁর সামাজিক মাধ্যমের পেজ দেখলেই বোঝা যায়, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যা তাঁর ভিডিয়োবার্তার আবেদনেও খানিকটা স্পষ্ট।

ভিডিয়ো বার্তায় অধ্যাপিকাকে নিজেই বলতে শোনা গিয়েছে, “আমার ব্যাক গ্রাউন্ড তো সবাই জানে, যারা আমাকে চেনে। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা হচ্ছে পুরোপুরি স্টাডিজ়-রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড। রিসার্চ-পাবলিকেশন এই সব নিয়েই থাকি। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছি, রিসার্চ করো, পাবলিকেশন করো, বুক চ্যাপ্টার্স করো, এখনও ওদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে নিয়ে যাচ্ছি। ওদের দিয়ে প্রেজেন্টেশন করাচ্ছি, যাতে ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।”

তবে অধ্যাপিকার ক্লাসরুমে এই ‘বিয়ের’ ভিডিয়ো নিয়ে জোর চর্চা শুরু হতেই উঠে এসেছে দুটি তত্ত্ব। এক, অধ্যাপিকার বক্তব্য, যে সেটি ফ্রেশার্সের নাটকের একটি ক্লিপিংস, যা ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে।  এর পিছনে কোনও অভিসন্ধি রয়েছে। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি অনুরোধ করেন, “আমি আপনাদের কাছে হাতজোড় করে রিকুয়েস্ট করব, এটাকে নিয়ে আর না এগোতে। এই ভিডিয়ো নিয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে। যদি কিছু অরিজিন্যাল হত আলাদা ব্যাপার, ফেক ভিডিয়ো নিয়ে মাতামাতি করে সময় নষ্ট হবে।”

আর দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, যা হল একটি কারিকুলামেরই একটি পার্ট। কিন্তু আসলে কী? সেটা এখনও বিচার্য, তদন্ত চলাকালীন  পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুটিতে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।