CM Mamata Banerjee : সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন: মমতা
CM Mamata Banerjee : বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, জ্যোৎস্না মান্ডি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা প্রমুখ।
![CM Mamata Banerjee : সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন: মমতা CM Mamata Banerjee : সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন: মমতা](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2023/03/CM-Mamata-Banerjee.jpg?w=1280)
ধরনা মঞ্চে মমতা
কলকাতা : একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। তার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই অভিযোগেই এবার চেনা পথের আন্দোলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে চলছে দুদিনের ধরনা। বুধবার বেলা ১২ টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, ইন্দ্রনীল সেন, জ্যোৎস্না মান্ডি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা প্রমুখ।সেখান থেকেই এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন। দাগলেন একের পর এক তোপ। বললেন..
- আমি তো এর আগেও ধর্নায় বসেছিলাম। রাজীব কুমারকে যখন তাঁর বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়েছিল তখনও তো আমি ধরনায় বসেছিলাম। আমি কেন জয়ললিতাও বসেছিলেন ধরনায়। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বসেছিলেন। আমি তো তবু পার্টির ব্যানারে করছি। দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাদের টাকা আদায় করার জন্য আমি একবার নয় আমি এক কোটি বার ধর্নায় বসব। ওদের কী করার ক্ষমতা আছে আমি দেখতে চাই। মনে রাখবেন আমার দুটি পোস্ট।
- অন্যদিকে আমার দল ক্ষমতায় আছে। তারমানে মানুষের কাছে আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের দায়বদ্ধতা আছে। মনে রাখবেন আমার কাছে আমার সৃষ্টি করা দল অনেক বড়। এই মাটিতে এই দল আপনারা তৈরি করেছেন সরকার তৈরি করার জন্য। শুধু এ মাটিতে নয়, সারা ভারতবর্ষের মানুষ আমাদের ভালবাসে।
- যে চোর ডাকাতগুলো চিরকুটে চাকরি পেয়েছিল সব গিয়ে ডিএ-র ওখানে বসে রয়েছে। তাঁদের কাছে আমায় জ্ঞান শুনতে হবে? সব চোর-ডাকাত। আর বড় বড় কথা বলছে বিজেপির গুণ্ডারা।
- মনে রাখবেন আমরা একশো দিনের কাজে আমরা পাঁচবার পরপর ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছি। কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। রাস্তা-সড়ক গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে পরপর চারবার আমরা নম্বর ওয়ান দেশের মধ্যে। আবাস যোজনায় পরপর আমরা নম্বর ওয়ান। ১৭টা জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। ইউনেস্কো, ইউনাইটেড নেশনসেরও অনেক পুরস্কার পেয়েছি।
- এখন ওরা আমাদের কিসব ২৭ নম্বর ধারা দেখাচ্ছে। বলছে আমার ইচ্ছা হলে আমি সব বন্ধ করে দিতে পারি। তুমি আমাদের উপর ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করেছ আমি তোমাদের বিরুদ্ধে জনগণকে দিয়ে প্রয়োগ করাব ৪২০ নম্বর ধারা। আগামীদিন ২০২৪ সালে তোমরা আসবে না। নিশ্চিন্তে থাকো। যতই চেঁচাও তোমরা আসবে না।
- প্রাইমারি স্কুল হোক, মাধ্যমিক স্কুল হোক, যত কাগজ বেরোচ্ছে এখন সব সিপিএমের লোকেরা করছে বিভিন্ন জায়গায় বসে থেকে। ওদের একটা ফাইল খুঁজুন পাবেন না। ২০০১ সালের ফাইল খুঁজন পাবেন না। লুকিয়ে রেখেছে। ২০০২, ২০০৯, ২০২০ এর খুঁজুন পাবেন না। হয় চুরি করেছে, নয় পুড়িয়ে দিয়েছে, নয় লুকিয়ে রেখেছে। আর আজকে তোমার গলার বেশি জোর। সিপিএমের মুখপত্রে যাঁরা চাকরি করে তাঁদের স্ত্রীরা সব শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছেন। কী করে? খুলব খাতাটা? একজন বাবু আছেন সিপিএমের রোজ কুৎসা করে বেরায় তাঁর বউ চিরকুটে ঢুকেছিল। তিনশো টাকায় ঢুকেছিল এখন প্রচুর টাকা পেনশন পায়।
- আমি তো ভেবেই পাচ্ছি না বীরভূমের বগটুইতে কী হল! চাকরি দিলাম, টাকা দিলাম, ঘর দিলাম, আমাদের লোক মার্ডার হল, যাকে সিবিআই গ্রেফতার করল সে মার্ডার হল, লোক বিচার পেল না। তাঁদের সঙ্গে কত টাকার ডিল হয়েছে? তদন্ত আমিও করব। দেখব কার কাছ থেকে কত টাকা কোন খাতে কার কাছে গিয়েছে।