Mamata Banerjee At Najrul Mancha: ‘ধ্বংসাত্মক’ নয়, বিরোধীদের গঠনমূলক রাজনীতির পাঠ পড়ালেন মমতা
Mamata Banerjee At Najrul Mancha: সেই মঞ্চ থেকেই কথা প্রসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তুলে ধরলেন নিজে বিরোধী থাকাকালীন তাঁর ও তাঁর দলের কী ভূমিকা ছিল, সে প্রেক্ষাপটও।
কলকাতা: উপলক্ষ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের দুটি প্রধান কর্মসূচির ঘোষণা। কিন্তু সেই মঞ্চ থেকেই কথা প্রসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তুলে ধরলেন নিজে বিরোধী থাকাকালীন তাঁর ও তাঁর দলের কী ভূমিকা ছিল, সে প্রেক্ষাপটও।
বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গুলির ফোয়ারা’দেখেছেন। কথা বলতে ‘৯২ সালের ঘটনাক্রমে ফিরে যান নেত্রী। মমতা বলেন, “২৫ বছরে পা দিয়েছে তৃণমূল। কত মানুষ শুধু লড়াই করে গিয়েছেন। কখন দিন হয়েছে, কখন রাত হয়েছে আমরা বুঝতে পারিনি। রাস্তার পর রাস্তার হেঁটে, আন্দোলনের পর আন্দোলন হয়েছে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম তো অনেক পরে। ২০০৮ সালের ব্যাপার। বিরানব্বিশ সাল ফিরে যান তো। কান্দুয়া আর আমতার হাত কাটার ঘটনা। দাঙ্গার ঘটনা। তিরানব্বিশ সালে ২১ জুলাইয়ের ঘটনা। একটার পর একটা।”
মমতার আরও সংযোজন, “মেমারির কারেন্দা থেকে শুরু করে, কোচবিহারের নার্স বর্ণালী দত্ত থেকে শুরু করে, হাওড়ায় পুলিশের গুলিতে খুন হয়ে গেল বিমাল দে, বেহালার রঘুনন্দন তিওয়ারি খুন হয়ে গেল, রাজারহাটে গুলি চলল, শান্তিপুরে, কোচবিহারে গুলি চলল। শুধু গুলির ফোয়ারা দেখতাম আমরা। সেই দিনগুলো অনেক কষ্টে পার করে এসেছি।” তবে এখনকার বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে তখনকার বিরোধী নেতৃত্বের কী ফারাক, তারও ব্যাখ্যা দেন নেত্রী। মমতা বলেন, “এখন যাঁদের কোনও কাজ নেই, অকথা কুকথা বলেন, বড় বড় কথা বলে বেরান, তাঁদের আমি বলব, আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, আমরা কিন্তু ধ্বংসাত্মক কিছু করিনি। গঠনমূলক কাজ করেছি। একটা রাজনৈতিক দল যখন তৈরি হয়, তার অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। ”
নেত্রী বলেন, “কোথাও কোথাও অনেক কঠিন পরিস্থিতিকেও সামাল দিতে হয়। তা সত্ত্বেও আমরা বিরোধীতে থাকাকালীনও যেমন ডেডিকেটেড ছিলাম উন্নয়নের জন্য, মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আমরা একমত হয়েছিলাম। আজও সেই সংগ্রামই করছি।”
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিয়োগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছে শাসকদল। তাতে নবতম সংযোজন আবাস। আদালতের একের পর এক ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। বিরোধীরাও মারাত্মক ভাবে ইস্যুভিত্তিক আক্রমণ চালিয়েছে। ‘আক্রমণের’ জন্য অস্ত্রের অবশ্য কোনও খামতি নেই বিরোধীদের হাতে। সে ক্ষেত্রে বিরোধীদের তোপের মুখে দাঁড়িয়ে নেত্রী দিলেন তাঁর ‘গঠনমূলক’ রাজনীতির পাঠ।