Mamata-Pawar: পাওয়ারের বাসভবনে ‘হামলা’র তীব্র নিন্দা মমতার, দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, "ভারতের অন্যতম প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের বাসভবনে হামলার আমি নিন্দা জানাই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাই।"

Mamata-Pawar: পাওয়ারের বাসভবনে 'হামলা'র তীব্র নিন্দা মমতার, দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি
শরদ পাওয়ার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 09, 2022 | 6:45 PM

কলকাতা: এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (NCP Chief Sharad Pawar) বাসভবনে ‘হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহারাষ্ট্র পরিবহন নিগমের প্রায় ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষুব্ধ কর্মী শুক্রবার বিকেলে মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো। অভিযোগ, সেই সময়েই শরদ পাওয়ারের বাড়িতে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীদের একাংশ। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোড়া হয়, ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ভারতের অন্যতম প্রবীণ নেতা শরদ পাওয়ারের বাসভবনে হামলার আমি নিন্দা জানাই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানাই।”

উল্লেখ্য, বিক্ষোভকারীদের রোষের মধ্যে পড়েন শরদ পাওয়ারের মেয়ে তথা লোকসভার সাংসদ সুপ্রিয়া সুলেও। তিনি বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শরদ পাওয়ার তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কিছুই করেননি। ।যদিও পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনায় ১০৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুক্রবারের ওই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে শরদ পাওয়ার পরবর্তী সময়ে বলেছিলেন, মহারাষ্ট্র পরিবহন নিগমের কর্মীদের বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের নেতারা (শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস) ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যেই এই ‘হামলার’ ঘটনায় পুলিশকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, এটি একটি “ষড়যন্ত্র”। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে রাউত জানিয়েছেন, “শীঘ্রই জানা যাবে এর পেছনে কারা ছিল।  শ্রমিকদের ধর্মঘটের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের কোনও সম্পর্ক ছিল না। কেউ মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।”