‘অস্ত্র নেই, গুলি চালাবো নাকি!’ সেদিন ছুটি ছিল, তাও চাকরি হারালেন স্বাস্থ্য ভবনের নিরাপত্তা কর্মী
হতবাক করা বিষয় হল, চাকরি হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে দু'জন এমনও রয়েছেন যাঁরা সেদিন ডিউটিতে ছিলেনই না।
সৌরভ দত্ত, কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর রাজ্যের উপর চাপ বাড়াতে গত ২৫ জুন স্বাস্থ্য ভবনে অভিযান চালান শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির প্রতিনিধিদলে শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক ও সাংসদেরাও। কিন্তু তাঁদের গেটেই আটকাতে না পারার কারণে চাকরি গিয়েছে ৪ নিরাপত্তারক্ষীর। হতবাক করা বিষয় হল, চাকরি হারানো ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জন এমনও রয়েছেন যাঁরা সেদিন ডিউটিতে ছিলেনই না। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেলঘরিয়ার ৬০ উর্ধ্ব বাসিন্দা সুশীল রায়কে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে কাজে আসতে হবে না।
একই ভাবে বিরোধী দলনেতাকে না আটকানোর ‘অপরাধে’ চাকরি হারিয়েছেন টাকির বাসিন্দা সুশীল দাস। এ বার কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। বেলঘরিয়ার ওই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মীর যদিও দাবি, স্বাস্থ্য ভবনে আসবাব চুরির ঘটনায় লাগাম টানতে চাওয়ার কারণেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চরম সমস্যার মধ্যে সুশীলবাবু আবেদন জানাচ্ছেন, প্রত্যেকের চাকরিই যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, শুভেন্দুরা যেদিন স্বাস্থ্য ভবনে অভিযান করেন সেদিন বরখাস্ত হওয়ার ৪ কর্মীর মধ্যে ২ কর্মী বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু তাও তাঁদের চাকরি চলে যায়। ফোনেই জানিয়ে দেওয়া হয় যে চাকরিতে আসার প্রয়োজন নেই। সেদিন স্বাস্থ্য ভবনে উপস্থিত না থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁর চাকরি গেল? এই নিয়ে সুশীলবাবুর ব্যাখ্যা, যেহেতু তিনি স্বাস্থ্য ভবনের আসবাবের বেআইনি বিক্রি রুখতে উদ্যত হয়েছিলেন, সেই কারণে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয়েছে।
সুশীলবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, “শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ২৫-৩০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। সাংসদ, বিধায়করা ছিল। ওই পরিস্থিতিতে গেটে যেই দু’জন লোক ছিল তাঁদের পক্ষে কখনই আটকানো সম্ভব নয়। যদি ১০-১২ জন পুলিশও থাকত, তাও আটকানো যেত না। আমাদের কাছে কোনও অস্ত্র নেই, আর অস্ত্র থাকলেই কি আমরা গুলি চালাবো নাকি!” আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়ে যাবতীয় মামলার শুনানি একযোগে, নির্দেশ হাইকোর্টের