Mohammad Ali Park Durga Puja: জলাধারের ওপর কোনওভাবেই পুজো নয়, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা

Mohammad Ali Park Durga Puja: প্রায় ৪০ লক্ষ গ্যালনের এই জলাধারের উপরে পুজোর মন্ডপ তৈরি করলে যে কোন সময় জলাধারটি ভেঙে পড়তে পারে।

Mohammad Ali Park Durga Puja:  জলাধারের ওপর কোনওভাবেই পুজো নয়, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা
মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে অনিশ্চয়তা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 2:59 PM

কলকাতা: জলাধারের উপরে কোনওভাবেই পুজোর অনুমতি নয়। মহম্মদ আলি পার্কের পুজো কমিটির সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল কলকাতা পুরসভার কর্তারা। ফলে জাঁকজমক ভাবে পূজো করা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেল মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর। পুজো করতে হলে সংশ্লিষ্ট কমিটিকে ফুটপাতের ওপরে পূজা করতে হবে। ফলে মহম্মদ আলি পার্কের পূজো নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেল।  সোমবার কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির কর্তারা। সেখানে কলকাতা পুরসভার তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয় কোনওভাবেই পুরসভার জলাধারের উপরে পুজোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু জলধারটি জরাজীর্ণ এবং অনেক পুরনো।

প্রায় ৪০ লক্ষ গ্যালনের এই জলাধারের উপরে পুজোর মন্ডপ তৈরি করলে যে কোন সময় জলাধারটি ভেঙে পড়তে পারে। এদিন জল সরবরাহ বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল এর সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন মহম্মদ আলি পার্কের পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অশোক ওঝা।

বৈঠকের পর পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বলেন, “মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যৌথভাবে ওই জলাধারের উপর এবং আশপাশের অংশ পরিদর্শন করা হবে। তারপরই আমাদের জায়গা খুঁজে নিতে হবে।” কিন্তু কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জলাধারের উপরে যে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে তা খুলে ফেলতে হবে। জলাধারের উপরে মন্ডপ তৈরি করে পুজোর আয়োজন করলে সেখানে চাপ বাড়বে এবং যে কোনও সময় বড়সড় বিপত্তির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।

তিনি জানিয়েছেন, পুজো উদ্যোক্তাদের জানানো হয়েছে, সিঁড়ির সামনে ফুটপাতের ওপরই পুজো করতে হবে। কোনওভাবেই জলাধারের উপরে এখন বা ভবিষ্যতে অনুমতি দেওয়া হবে না।

পুজোর আর বেশি দিন বাকি নেই। প্যান্ডেলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, খুঁটিপুজোর সময়েও বিধায়ক, কাউন্সিলররা এসেছিলেন। কিন্তু তখন সেরকমভাবে কিছুই বলা হয়নি। প্যান্ডেলের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে উদ্বেগে পুজো উদ্যোক্তারা।