Physical Harassment: সিগারেটে নেশাজাত দ্রব্য মিশিয়ে ভুয়ো ডেটিং সেন্টারে যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা
Physical Harassment: শেখ বিনোদ নামে ওই যুবক গলফগ্রিন থানা এলাকায় নিজের নামের আড়ালে একটি ভুয়ো ডেটিং সেন্টার চালাত বলে জানা গিয়েছে। ওই ভুয়ো ডেটিং সেন্টারই যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।
কলকাতা : সিগারেটের সঙ্গে নেশাজাত দ্রব্য মিশিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদ ওরফে শেখ আখতারকে। শনিবার সকালে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে গলফগ্রিন থানার পুলিশ। শেখ বিনোদ নামে ওই যুবক গলফগ্রিন থানা এলাকায় নিজের নামের আড়ালে একটি ভুয়ো ডেটিং সেন্টার চালাত বলে জানা গিয়েছে। ওই ভুয়ো ডেটিং সেন্টারই যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবতীর অভিযোগ, তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল, সিগারেটের মধ্যে নেশাজাতীয় কিছু জিনিস মিশিয়ে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২৭ জুন। এরপর ৮ জুলাই আবারও অভিযুক্ত ব্যক্তি চড়াও হয়। কাউকে কিছু জানালে পরিণতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে যুবতীকে হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। ওই যুবতী এবং তাঁর বোনের শ্লীলতাহানির উদ্দেশে তাঁদের উপর চড়াও হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, যুবতীর ভাইকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয় পুলিশের কাছে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন গলফগ্রিন থানার পুলিশকর্মীরা। সোমবার সকালে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ আখতারকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৩৬, ৫১১, ৩০৭, ৩২৮, ৩৫৪, ৩৫৪ (বি), ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রেহাই পায়নি নাবালিকারাও। একের পর এক এমন নারী নির্যাতনের অভিযোগে কার্যত মুখ পুড়েছে রাজ্যের। হাঁসখালি, মাটিয়া-সহ রাজ্যের একাধিক ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে চারিদিকে। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার এবং বাঁশদ্রোণীর ধর্ষণের অভিযোগে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে আবার হাঁসখালির ঘটনায় তদন্ত করছে সিবিআই। হাঁসখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর এই সবের মধ্যে রাজ্যে ফের এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে।