Anubrata Mondal: ‘অনুব্রতর মেয়ে স্কুলে যাবেন, আশা করেন কীভাবে?’ তোপ সুকান্তর
Anubrata Mondal: রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমরা তো বলেছি এসএসসি নিয়ে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। কোর্টে তাও ধরা পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, তিনি স্কুলে যাবেন... এটা আশা করেন কীভাবে? কেষ্ট কী করেছে? মুখ্যমন্ত্রী যাঁর হয়ে গলা ফাটান, কত প্রভাবশালী নেতা তিনি।"

কলকাতা : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এবার নতুন মোড়। টেট পাশ না করেও চাকরি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সহ আরও পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। সেই তালিকায় রয়েছেন অনুব্রত বাবুর ভাই, ভাইপো সহ অন্যান্যরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অনুব্রত-কন্যা সহ ছয় জনকে টেট শংসাপত্র এবং নিয়োগপত্র নিয়ে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। আর এই নিয়েই এখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। একদিনে নিয়োগের দাবিতে রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে এদিন দুপুরে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর এরই মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যুতে নাম জড়াল অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের।
রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা তো বলেছি এসএসসি নিয়ে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে। কোর্টে তাও ধরা পড়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, তিনি স্কুলে যাবেন… এটা আশা করেন কীভাবে? কেষ্ট কী করেছে? মুখ্যমন্ত্রী যাঁর হয়ে গলা ফাটান, কত প্রভাবশালী নেতা তিনি।”
সিপিএম সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এতে খুব আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। দেখছেন না, অনুব্রত মণ্ডল হাজার হাজার কোটি টাকা বেআইনি উপার্জন করেছেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। এতে বোঝা উচিত দুর্নীতির মূল উৎসস্থল কোথায়। তাহলে অনুব্রতর মেয়ে বাড়িতে বসেই কাগজে সই করবেন, বাড়িতে বসেই বেতন পাবেন… সরকারের টাকা নিয়ে তো লুঠপাট হচ্ছে। এতদিন তদন্ত হয়নি। এখন তদন্তটা ঠিকঠাক হোক। সত্যটা সামনে আসুক।”
কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি এদিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, “যত সব দুর্নীতির কেন্দ্র, তা তো তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূলের নেতারা চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত, তা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ টের পাচ্ছেন। রাস্তার পাশে যে যোগ্য ছেলেমেয়েরা চাকরি না পেয়ে বসে আছেন, তাঁরা তো জানেন। মানুষ সব বুঝতে পারছেন। ফেল করলে পাশ, পাশ করলে ফেল। সাদা খাতায় মজা বেশি। অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও তাই। তাঁর (অনুব্রতর মেয়ের) চাকরি খারিজ হওয়া উচিত।”
তবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এদিন বিকেলে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের চাকরি সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, “আমি খোঁজ না নিয়ে বলতে পারব না।” এদিকে এইভাবে টেট পাশ না করেই চাকরি পাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই খবর শোনার পর হতবাক মেয়ো রোডে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাঁদের। আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু তারপরও পুরোপুরি চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না তাঁরা।





