Partha Chatterjee: ঝুলেই রইল পার্থদের জামিনের মামলা, পুজোর পরে রায়দান
Partha Chatterjee: নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিনের আবেদন করেন সুবীরেশ-পার্থরা। এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে যেহেতু সুবীরেশ ভট্টাচার্য কিংবা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা সরকারি আধিকারিক ছিলেন, তাই রাজ্যের ক্ষেত্রে একটা অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসপি সিনহাদের জামিন মামলার শুনানি শেষ। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জি ও অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০২২ সাল থেকে এই চারজনই জেলে। সিবিআই তদন্ত করছে বলে, ট্রায়াল এখনও শুরু করা যায়নি। অবিলম্বে ট্রায়াল শুরু করার দাবি জানান আইনজীবী। মোট ১৩৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। তদন্ত এখনও চলছে। আদালতে পাল্টা সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আইনজীবীর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে জামিনের আবেদন করেন সুবীরেশ-পার্থরা। এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে যেহেতু সুবীরেশ ভট্টাচার্য কিংবা কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়রা সরকারি আধিকারিক ছিলেন, তাই রাজ্যের ক্ষেত্রে একটা অনুমতির প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন এই বিষয়টি নিয়ে মামলা চলে।
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিত ব্যানার্জি ও অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিবিআই ও সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শোনা হল। তবে রায়দান স্থগিত রাখা হল। পুজোর পরে এই মামলার রায়দান হবে।
প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরেই পার্থদের জামিনের মামলা ঝুলেই রয়েছে। পার্থের জামিনের বিরুদ্ধে এত দিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে সওয়াল করা হত, তিনি প্রভাবশালী। পার্থ জামিনে মুক্তি পেয়ে গেলে তিনি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। সাক্ষীদের উপরও প্রভাব খাটাতে পারেন। নষ্ট করতে পারেন তথ্যপ্রমাণ।
গত শুনানিতে সিবিআইয়ের এই যুক্তি উড়িয়ে দেন পার্থের আইনজীবী। তাঁর সওয়াল, পার্থ এখন মন্ত্রী নন। কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতাও তাঁর পাশে নেই। তিনি এখন একা। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে যে ‘প্রভাবশালী’ তকমা রয়েছে, তা সঠিক নয়।