জমে উঠেছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela)। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে মকর স্নানের পুণ্য সময়। শেষ হবে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে। পুণ্যস্নান করে মোক্ষ লাভের উদ্দেশে সাগরে ভিড় জমতে শুরু করেছে লক্ষা লক্ষ পুণ্যার্থীর।
সূত্রের খবর, এবারে গঙ্গাসাগর মেলার বাজেট প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। শনিবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় ৩৯ লক্ষ পুণ্যার্থী। একইশঙ্গে সাগরে আগত পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে বিশেষ আকর্ষণ।
গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গনেই রাজ্যের পাঁচটি মন্দিরকে একসঙ্গে দেখতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। রয়েছে তারকেশ্বর (Tarakeshwar), কালীঘাট (Kalighat), দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar), তারাপিঠ এবং জহুরা কালীবাড়ি। এই সমস্ত মন্দিরের আদলে গঙ্গাসাগরে তৈরি করা হয়েছে একটি মণ্ডপ।
এই সমস্ত মন্দিরের পুজো অর্চনা সরাসরি ওয়েব কাস্টিংয়ের মাধ্যমে দেখানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যাঁর মাধ্যমেই পুণ্যার্থীরা দর্শন করে নিতে পারবেন বাংলার পাঁচ মন্দিরের বিগ্রহ এবং পুজো অর্চনাও।
এবার ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি সাগরের জল থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্নানের জায়গাও হয়েছে আরও প্রসারিত। ১ নম্বর ও ৬ নম্বর বিচ যাওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে নতুন রাস্তা। কিছু লঞ্চ ও ভেসেল রিজার্ভ ছিল সেগুলিকে কাজে লাগানো হয়েছে মেলা উপলক্ষে।
কলকাতা থেকে সাগর আসার রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে বাফার জোন। সেখানে থাকছে জল ও বিশ্রামের ব্যবস্থা। মেলা প্রাঙ্গন পরিস্কার রাখার জন্য প্রশাসনের তরফে নেওয়া হয়েছে নানা ব্যবস্থা। মেলার আবর্জনা থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এই কাজের ৭ টি কঠিন বর্জ্য পদার্থ ইউনিট তৈরি হয়েছে। কাজ করছেন ৪৯৮০ জন সাফাই বন্ধু।
একইসঙ্গে মেলা প্রাঙ্গনে থাকছে ১২০০০ স্থায়ী ও অস্থায়ী শৌচাগার। মহিলাদের জন্য থাকছে SHE Corner। শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্যই মূল এই জায়গাগুলির ব্যবহার করা হয়। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
থাকছেন ৩০০০ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মী। একইসঙ্গে ১২০ জন জল প্রহরী থাকছেন জলপথে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ৬টি টাওয়ার থেকে ৭ টি ভাষায় চলছে মাইকিং। ইতিমধ্যেই ১২ জন অসুস্থ ব্যক্তিকে গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গনে ২৮ টি পকেটমারির ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। মোট ৯৫,৩২৫ টাকা চুরি গিয়েছে। ৩৫ জন গ্রেফতার করা হয়েছে বিভিন্ন অসামাজিক কাজের জন্য।