R G Kar: ‘সন্দীপময়’ সুপ্রিম কোর্ট! প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণে ‘শরশয্যায়’ রাজ্য

R G Kar: মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরু থেকে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে আরজি কর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ভূমিকা। 

R G Kar: 'সন্দীপময়' সুপ্রিম কোর্ট! প্রধান বিচারপতির প্রশ্নবাণে 'শরশয্যায়' রাজ্য
চরম ভর্ৎসনার মুখে সন্দীপ ঘোষ Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2024 | 4:29 PM

নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে চরম চাপের মুখে রাজ্য সরকার। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। শুনানির শুরু থেকে মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে আরজি কর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ভূমিকা।

প্রধান বিচারপতি জানতে চান, অভিযোগ উঠেছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। অধ্যক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছিলেন। এমনকি পরিবারকে মৃতদেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। তখন রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, এই অভিযোগগুলি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এটি পরিষ্কার যে খুন করা হয়েছে। প্রথমে এফআইআরে কি তা উল্লেখ ছিল? অধ্যক্ষ কী করেছেন?”

এদিনের শুনানিতে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের পদত্যাগ, আর তারপরেই তাঁকে অন্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুনর্বহাল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান  বিচারপতি জানতে চান, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করা হয়েছে কি না? জবাবে রাজ্য জানায়, তাঁকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি জানতে চান, অপরাধ প্রকাশ্যে এসেছে ভোরবেলা। অধ্যক্ষ সেটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেছিলেন এবং অভিভাবকরাও দেহ দেখার অনুমতি পাচ্ছিলেন না।

রাজ্যের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, “এটা ঠিক নয়।” প্রধান বিচারপতি আবারও বলেন, অনেক রাত পর্যন্তও কোনও এফআইআর দায়ের হয়নি। আইনজীবী সিব্বল বলেন, “ঘটনার পরই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। যেটা এফআইআর।” প্রধান বিচারপতি জানতে চান, এফআইআর প্রথম কে দায়ের করেছিলেন? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, মৃতার বাবা। সেক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়ে। ঘটনায় হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সাত জনের জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)