R G Kar Hospital: সমস্যার বীজ লুকিয়ে কোথায়? আন্দোলনকারীদের থেকে জানতে চায় হাইকোর্ট

R G Kar Hospital: এই কারণে পাঁচ জন সদস্যের একটি মেন্টর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার পুরোপুরি সুরাহা হয়নি।

R G Kar Hospital: সমস্যার বীজ লুকিয়ে কোথায়? আন্দোলনকারীদের থেকে জানতে চায় হাইকোর্ট
আরজি করের অচলাবস্থা উদ্যোগী হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 12:40 PM

কলকাতা: আরজিকর হাসপাতালে (R G Kar Hospital) অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগ। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় হাইকোর্ট। সোমবার আদালতে আরজিকরের অচলাবস্থা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল। শুরুতেই আদালতের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, এখন হাসপাতালের পরিস্থিতি কী পর্যায়ে রয়েছে। হাসপাতালের অচলাবস্থা যে এখনও পুরোপুরি কাটেনি, তা জানানো হয়। তবে হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে যে কোনও ধরনের আন্দোলন করা যায় না, তা আরও একবার স্মরণ করানো হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথার বলতে চাইছে আদালত। এই কারণে পাঁচ জন সদস্যের একটি মেন্টর কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই সমস্যার পুরোপুরি সুরাহা হয়নি।

শুনানির শুরুতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানতে চান, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিনিধি আদালতে উপস্থিত রয়েছেন কিনা। দেখা যায়, আন্দোলনকারীদের কেউ এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এরপর মামলাকারী আদালতে জানান, তিনি ইমেল মারফত আন্দোলনকারীদের একাংশকে শুনানির সময়ে আদালতকক্ষে উপস্থিত থাকার বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের পক্ষ থেকে এদিন কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

এরপরই আদালত জানিয়ে দেয়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অচলাবস্থা কাটাতে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। যদি তাঁদের পক্ষ থেকে কোনও আইনজীবী আসেন, তাহলে এদিন দুপুরেই ফের এই মামলা কক্ষে উঠতে পারে। অথবা আন্দোলনকারীরা যদি ভার্চুয়ালি কথা বলতে চান, সেক্ষেত্রেও আগ্রহী আদালত। আদালত আসলে বুঝতে চাইছে, কোথায় লুকিয়ে এই সমস্যার বীজ? আদতে আন্দোলনকারীরা এখন কী চাইছেন?

শনিবার সকাল থেকেই আরজিকর হাসপাতালের চিত্রটা বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। সকালে পিজিটিরা কালো ব্যাজ় পরে কাজে যোগ দেন। পরবর্তীতে দেখা যায় কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দেন ইন্টার্নরা। সেই দিকটা মাথায় রেখেই মনে করা হচ্ছে, ২০ দিন পর আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এখনও জিইয়ে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অশান্তি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এখনও সোচ্চার হবু চিকিত্সকরা। ২০ দিন ধরে টানা আন্দোলন চলছিল। এর আগে সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে। অর্থাত্ তাঁরা ডিউটি রোস্টারে অনুপস্থিত বলে গণ্য হবে। এরপরই দেখা যায় পিজিটি চিকিত্সকরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে সরে আসেন।

এরপর কর্তৃপক্ষ চাইছে যাতে ইউজি আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও ক্লাসে যোগ দেন। সামনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে উপস্থিতির হার নিয়ে নোটিস জারি করলেন কর্তৃপক্ষ। থিওরি ক্লাস পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনশনকারী পড়ুয়ারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনওরকম চাপের মুখে মাথা নত করবে না তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের নার্সেস ইউনিটির আন্দোলন তোলার জন্য সরকারপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল, আরজিকরের এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সরকার একই পদক্ষেপ করবে। সেই সম্ভাবনার খবর সম্প্রচারিত করেছিল TV9 বাংলা। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।

হাসপাতালের ডেপুটি স্পিকার বলেন, “দু-তিন দিনের মধ্যে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়েছে। পিজিটিরা কাজে যোগ দিয়েছেন। বাড়তি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। সংখ্যাটা ৭৫-১০০। যদিও এখনও হাসপাতালের অনেক বেড খালি রয়েছে। কোনও ওয়ার্ডেই ভর্তি হতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।”

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: কাঁকুরগাছির অভিজিৎ সরকার ‘খুনে’ তৎপর সিবিআই, সাতসকালেই ৪ অভিযুক্তের বাড়িতে হানা