Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Saline: জোগানে ঘাটতি, স্যালাইন নিয়ে আতান্তরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর

Saline: পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের বদলে বিকল্প হিসাবে চলতি বছরের ৭ তারিখ ফার্মা ইমপ্লেক্সকে বরাদ্দ দিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন। এবার সেই সংস্থাকেও উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ।

Saline: জোগানে ঘাটতি, স্যালাইন নিয়ে আতান্তরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
স্যালাইন বিভ্রাট (ফাইল ছবি)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2025 | 4:52 PM

কলকাতা: স্যালাইন নিয়ে ঘোর বিপাকে স্বাস্থ্যভবন। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন বিভ্রাটে প্রসূতি মৃত্যুর পর পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের স্যালাইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বিকল্প যে সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছিল, তাতেও বিপত্তি। কারণ নতুন সংস্থার দেওয়া স্যালাইনেও দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া। এবার সেই বিকল্প সংস্থার স্যালাইনও বন্ধ করার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের। ফার্মা ইমপেক্সের বারুইপুরের প্ল্যান্টে পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা।

পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের বদলে বিকল্প হিসাবে চলতি বছরের ৭ তারিখ ফার্মা ইমপ্লেক্সকে বরাদ্দ দিয়েছিল স্বাস্থ্যভবন। এবার সেই সংস্থাকেও উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালের যখন ১৪টি প্রোডাক্টের উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ জারি হয়, তখন ফার্মা ইমপ্লেক্স ১৪টির মধ্যে ৭টি প্রোডাক্ট সাপ্লাই করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে। এখন এই সংস্থা আতস কাচের নীচে।

তাতে আতান্তরে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। চিন্তা একটাই, কীভাবে রোগী পরিষেবায় এই সঙ্কট মোকাবিলা করা যায়? প্রশ্ন উঠছে এটাও, একের পর এক স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থা কেন আতস কাচের নীচে চলে আসে। কেন সংস্থাগুলোর প্রোডাক্ট গুণমান উত্তীর্ণ করতে পারছে না? সেটাই প্রশ্ন। যদিও এই সংস্থার কর্তৃপক্ষ এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি।

বছরে তিন ধরনের স্যালাইন মিলিয়ে ১ কোটি ৯০ লক্ষ স্যালাইন লাগে সরকারি হাসপাতালগুলিতে। মাসে ১৬ লক্ষ স্যালাইনের প্রয়োজন। কে দেবে এই বিপুল স্যালাইনের জোগান? ফার্মা ইমপেক্স সরিয়ে নিলে কী দিয়ে হাসপাতাল চলবে? নেই সদুত্তর!

কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন চিকিৎসকরাই। কারণ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইন বিভ্রাটে প্রসূতি মৃত্যুর পরও চিকিৎসার গাফিলতির তত্ত্ব খাড়া করে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ বলেন, “এক্ষেত্রেও আবার চিকিৎসকদেরই দায়ী করা হবে। রোগী ও চিকিৎসকদের মাঝে রয়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আর এই চিকিৎসা ব্যবস্থা ডাক্তারদের হাতের পুতুলের মতো নাচাচ্ছে। সেই জায়গা নিয়েই আমাদের আন্দোলন ছিল।”