Suvendu Adhikari: ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু, সঙ্গে মৃত দলীয় কর্মীর মা

Suvendu Adhikari: এদিন পিংলায় মৃত দলীয় কর্মী শান্তনু ঘোড়ুইয়ের পরিবারকে সঙ্গে করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। সঙ্গে ক্যানিং পূর্বের আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালকে কাছে পিংলা-ক্যানিংয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন শুভেন্দু।

Suvendu Adhikari: ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু, সঙ্গে মৃত দলীয় কর্মীর মা
রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দুImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2024 | 10:02 PM

কলকাতা: ভোট পূর্ববর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ফের একবার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে তুললেন প্রশ্ন। এদিন পিংলায় মৃত দলীয় কর্মী শান্তনু ঘোড়ুইয়ের পরিবারকে সঙ্গে করে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। সঙ্গে ক্যানিং পূর্বের আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের কথাও বলেন তিনি। রাজ্যপালকে কাছে পিংলা-ক্যানিংয়ে যাওয়ার অনুরোধও করেন শুভেন্দু। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভও উগরে দেন তিনি। 

শুভেন্দু বলেন, “পিংলায় ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী শান্তনু ঘোড়ুইকে খুন করা হয়েছে। ওর দাদা বুথ সভাপতি। তাঁকে খুন করা হয়েছে। প্রথমে এফআইআর নিতে চায়নি পুলিশ। পরে বিক্ষোভের ফলে এফআইআরটা নিয়েছেন। পোস্টমর্টেম করেছে গায়ের জোরে। আজ পুলিশ বলছে জলে ডুবে মৃত্যু। কিন্তু, দেহ উদ্ধার হয় মাঠ থেকে।” এরপরই ক্যানিংয়ের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, “ক্যানিংয়ে শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ হোসেন শেখের নেতৃত্বে ৩০ জন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে। তারমধ্যে তিনজন কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওখানেও এফআইআর নেওয়া হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।” শুভেন্দুর সাফ কথা, “জঙ্গলরাজ চলছে। ডিজির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। উনি সময় দেননি। আমরা রাজ্যপালকে বলেছি আপনি শান্তুনুর বাড়ি যান। ক্যানিং যান।” 

শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনুর মা পদ্মবতী ঘোড়ুইও। তিনি বলেন, “বিজেপি করত বলে আমার ছেলেকে প্রাণ দিতে হল। মোদী যেদিন থেকে ক্ষমতায় সেদিন থেকে আমার ছেলে বিজেপিতে ছিল। তৃণমূলের লোকজনই মেরে ফেলেছে ওকে। যাঁরা মেরেছে ওদের নাম পুলিশকে দিয়েছি। ঘটনার পর থেকে আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। হুমকিও আসছে বাড়িতে। রাজ্যপালকে সব জানিয়েছি। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের পাশে থাকবেন। পিংলাতেও আসবেন বলেছেন।”