Adhir Ranjan Chowdhury: বঙ্গীয় কংগ্রেসে কি এবার অধীর জমানার ইতি? বাড়ছে জল্পনা
West Bengal Congress: অধীর চৌধুরী কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিচ্ছেন? গত কয়েক দিন ধরেই এই সংক্রান্ত বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে প্রশ্নে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য অধীর চৌধুরীর। কী বললেন তিনি?
কলকাতা: লোকসভা ভোট মিটতেই এবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বদল ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। অধীর চৌধুরী কি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিচ্ছেন? গত কয়েক দিন ধরেই এই সংক্রান্ত বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। এবারের ভোটে ডবল হ্যাটট্রিক হয়নি অধীর চৌধুরীর। বহরমপুরের ‘রবিনহুড’ অধীর চৌধুরীর দুর্ভেদ্য দুর্গে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। নিজের আসনেই পরাস্ত হয়েছেন অধীর। এরপরই বহরমপুরের পাঁচ বারের প্রাক্তন সাংসদের দলে আগামীর ভূমিকা নিয়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন অধীরবাবু। যদিও এখনও পর্যন্ত অফিশিয়ালি কংগ্রেসের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি এবং প্রদেশ কংগ্রেস শিবির থেকে এই বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবারের ভোটে বাংলায় একাধিক ইন্দ্রপতনের ছবি ধরা পড়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বহরমপুরে নিজের দুর্গ থেকে অধীর চৌধুরীর হার। তৃণমূলের তারকা প্রার্থী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাস্ত হয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে শুক্রবার কলকাতায় বৈঠকে বসেছিল প্রদেশ কংগ্রেস। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অধীরের উত্তর আরও ঘৃতাহুতি করেছে এই জল্পনায়। অধীর চৌধুরী বলেন, “আমি প্রদেশ কংগ্রেস অস্থায়ী সভাপতি। মল্লিকার্জুন খাড়্গে যেদিন থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন, সেদিন থেকে তো ভারতবর্ষের আর কোনও রাজ্যে সভাপতি হয়নি। এবার যখন করবে, তখন দেখতে পাবেন আপনারা। আমি তো অস্থায়ী সভাপতি।”
এবারের ভোটে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর হয়নি। বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাদেশিক সমীকরণ। বামেদের সঙ্গে জোট করে তৃণমূল ও বিজেপি উভয়ের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস। ইউসুফের সমর্থনে বহরমপুরে প্রচারে গিয়ে বাংলায় ইন্ডিয়া জোট কার্যকর না হওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আবহে বাংলার এই সমীকরণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও। খাড়্গে বলেছিলেন, ‘কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরী কেউ নন। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেসে হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে। যদি কেউ সেটা মানতে না পারেন, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারেন।’
এদিকে অধীরের পরে কে হতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি? তা নিয়েও বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর নতুন প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বাংলা থেকে কংগ্রেসের নবনির্বাচিত ও একমাত্র সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। এছাড়া পোড় খাওয়া প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নানও নতুন প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন বলে সূত্রের দাবি।