NRS Interns Protest: স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তার কন্যা বলেই কি ডিউটিতে ছাড়? বিতর্কে এনআরএস
NRS Medical College and Hospital : স্বাস্থ্যকর্তার কন্যা নির্দেশিকা না মানলে বাকিরাও ডিউটিতে অপারগ। স্মারকলিপি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন চক্ষু বিভাগের ইন্টার্নরা।
কলকাতা: চিকিৎসক সঙ্কটের মধ্যেই আইসোলেশন বিতর্ক এনআরএসে (NRS Medical College and Hospital)। চক্ষু বিভাগের ইন্টার্নদের (Interns) একাংশ নতুন নির্দেশিকা মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) পদস্থ কর্তার কন্যার আচরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রভাব খাটিয়ে ডিউটি না করার অভিযোগ উঠেছে ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে এমএসভিপিকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্বাস্থ্যকর্তার কন্যা নির্দেশিকা না মানলে বাকিরাও ডিউটিতে অপারগ। স্মারকলিপি দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলেন চক্ষু বিভাগের ইন্টার্নরা।
গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন চক্ষু বিভাগের ইন্টার্নরা
স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ কর্তার কন্যা বলেই কি ডিউটিতে ছাড়? এই প্রশ্ন তুলেই এনআরএসের এমএসভিপি’র কাছে শুক্রবার স্মারকলিপি জমা দিলেন চক্ষু বিভাগের ইন্টার্নরা। আইসোলেশনের মেয়াদ সাত দিনে কমিয়ে এনেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একের পর এক হাসপাতালে যে ভাবে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে সঙ্কট কাটাতে নতুন আইসোলেশন নির্দেশিকায় ভরসা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলির। কিন্তু সেই নির্দেশিকায় এনআরএসের চক্ষু বিভাগের এক ইন্টার্ন মানছে না বলে অভিযোগ।
প্রভাব খাটিয়ে ডিউটি এড়ানোর অভিযোগ
ঘটনাচক্রে, সেই ইন্টার্নের মা স্বাস্থ্য ভবনের এক পদস্থ কর্তা। জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, মেয়েকে ডিউটিতে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হলে প্রভাব খাটিয়ে তা পত্রপাঠ খারিজ করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ‘আনডিউ অ্যাডভান্টেজ’ নেওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে স্মারকলিপিতে। একই সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, বিভাগের আশি শতাংশ ইন্টার্ন পজিটিভ। অনেকে যখন উপসর্গ নিয়েও কাজ করছেন তখন একজনের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে কেন। দ্রুত পদক্ষেপ না করা হলে বাকিদের পক্ষেও ডিউটি করা সম্ভব হবে না বলে স্মারকলিপিতে জানিয়েছেন ইন্টার্নরা।
আক্রান্ত বহু চিকিৎসক। টেলি মেডিসিন পরিষেবায় চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব নয়। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানালেন এনআরএস কর্তৃপক্ষ। একই বক্তব্য জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দেওয়া হল।
সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহে তিনশোরও বেশি চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় এনআরএসে ১৫৭ জন পজিটিভ হয়েছেন। ১৫৭ জনের মধ্যে ৮৫ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী পজিটিভ। এরই মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ সাতদিনের আইসোলেশন নির্দেশিকা না মানায় বিপাকে পড়েছেন এনআরএস কর্তৃপক্ষ। একে কোভিড পজিটিভের সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে চিকিৎসকদের একাংশ আইসোলেশন নির্দেশিকা না মানায় পরিষেবা কী ভাবে সচল থাকবে সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন এন আরএসের কর্তাব্যক্তিরা।
যদিও এনআরএসের এমএসভিপি ইন্দিরা দে জানিয়েছেন, “বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আমি এখনও চিঠি পাইনি!”
আরও পড়ুন : Bidhannagar Municipal Election: বিধাননগরে বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা, কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ