Babul Supriyo: বাবুলের বিধায়ক পদে শপথ ঘিরে ‘জটিলতা’, কেন জানেন?
Jagdeep Dhankhar: সূত্রের খবর, বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্যও রাজভবনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বিধানসভার তরফে। সেই মতো ফাইলও পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফাইল ফেরত পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা : বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। কিন্তু তাঁর বিধায়ক পদে শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাধারণভাবে, যে কোনও শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে অধিকার দিয়ে রাখেন। অতীত ঘাটলেও দেখা যাবে, বিধায়কদের শপথ বাক্য সবসময় বিধানসভার অধ্যক্ষই পাঠ করান। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আমলে এর আগেও বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করানোকে কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এবার ফের সেই একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধায়ক পদে বাবুল সুপ্রিয়র শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্যও রাজভবনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বিধানসভার তরফে। সেই মতো ফাইলও পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফাইল ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিধানসভার ওই সূত্র মারফত এও জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের বেশ কিছু প্রশ্ন রয়েছে। বিধানসভার সচিব সেই প্রশ্নের উত্তর দেবেন, তারপর রাজ্যপাল এই বিষয়টি নিয়ে ভাববেন। যদিও বিধানসভা সূত্রের দাবি, এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যপালের যা যা জানার ছিল, সেই সব প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্য়েই দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেনের বিধায়ক পদে শপথ গ্রহণ ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। তখনও সেই একই সমস্যা, শপথ বাক্য কে পাঠ করাবেন, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়? সেই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল বিধানসভার অধ্যক্ষ নয়, বরং রাজ্যপালই মমতা এবং আরও দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। এ বারও কি তাহলে তেমন কিছুই হতে চলেছে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরমহলে। উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা উপনির্বাচনে বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জ থেকে ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন। তবে বাবুলের বক্তব্য ছিল, সেই সময় অনেক নেতাই তাঁকে বলেছিলেন ২০ হাজার ভোটের ব্যবধান খারাপ কিছু নয়। এদিকে বালিগঞ্জে প্রায় ৫১ শতাংশ ভোটার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেই হিসেবে তৃণমূলের আরও বেশি ব্যবধানে জয় হওয়ার কথা ছিল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে, তাই ২০ হাজার ভোটের ব্যবধান খারাপ নয়। এই সব চর্চার মধ্যে জয়ী হয়েও বেশ অস্বস্তিতে বাবুল। এবার তার সঙ্গে যোগ হল বাবুলের শপথ গ্রহণ ঘিরে জটিলতা।
আরও পড়ুন : Heat Wave: প্রয়োজনে জল সরবরাহের সময় বাড়নো হোক, তীব্র তাপপ্রবাহে জেলাগুলিকে নির্দেশ রাজ্যের