SSC Case: ‘ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন…’, শেষ হল দীর্ঘমেয়াদী SSC মামলার শুনানি! তারপরও এমন কেন বললেন বিচারপতি?
SSC Case: আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, "এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যে আধিকারিকরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। এই সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।"
কলকাতা: ‘এই নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।’ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে বিশেষ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের। দীর্ঘদিন চলার পর এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি বুধবার হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শেষ হল। রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল- ডিভিশন বেঞ্চে ঘোরাফেরা করেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহা-সহ একাধিক বিচারপতির এজলাসে এই মামলা বিচারাধীন ছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি সংক্রান্ত নিয়োগ মামলা শুনানির জন্য গঠিত হয় বিশেষ বেঞ্চ। এই বেঞ্চে গত ৫ ই ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় শুনানি। প্রায় সাড়ে তিনমাস চলল শুনানি।
বুধবার এই মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের পর্যবেক্ষণ, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।” আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “ঘোষিত শূন্যপদের থেকেও বেশি সংখ্যক ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে।” বিচারপতি তখন বলেন, “অতিরিক্ত নিয়োগ সরাসরি বাতিল হওয়া উচিত।”
আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সওয়াল করেন, “এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে যে আধিকারিকরা যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হোক। এই সব টাকা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক।” তখন বিচারপতি বসাক বলেন, “বিধিবদ্ধ সংস্থার আধিকারিকদের জন্য ফৌজদারি মামলা তো আছেই।” আইনজীবী বলেন, “এটা সুপরিকল্পিত অপরাধ। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত যদি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এই অপরাধপ্রবণতা কমবে না। অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতেই থাকবে।”
বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবী প্রমিত রায় সওয়াল করেন, “এসএসসি এবং CBI, কেউই বিশ্বাসযোগ্য নয়।” তখনই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “তাহলে কার ওপর আমরা বিশ্বাস করব ?” উত্তরে বিতর্কিত চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী প্রমিত রায় বলেন, “আদালত নিজের স্বতন্ত্র সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখুক।” তখন সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এই আদালত তো OMR দেখার সুযোগ দিয়েছিল। কজন এসে বলেছেন যে এই OMR আমার নয়?”