একুশে শহিদ স্মরণে এবার সামিল হেস্টিংসও! শুভেন্দুর হাত ধরে পদ্মের অন্য সমীকরণ
Suvendu Adhikari: মুরলিধর সেনের অন্দরে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে যে সব বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের স্মৃতিচারণ করা হবে তৃণমূল থেকে আসা নেতার হাত ধরেই!
কলকাতা: একদিকে, শহিদ স্মরণে তৃণমূলের একুশে জুলাই পালন (21 July)। অন্যদিকে, তারই পাল্টা বিজেপির শহিদ স্মরণ। রাজ্য বিজেপির কার্যালয় হেস্টিংসে বেলা দেড়টায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই অনুষ্ঠান হবে। কর্মী সমর্থকদের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু লিখেছেন, “নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর অত্যাচারে আমাদের যে সমস্ত কর্মীরা শহিদ হয়েছেন, আজ তাঁদের স্মরণ করার দিন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের দিন আজ।”
This 21st July let’s honour the BJP karyakartas killed by TMC goons after election. Join us at 1 PM today to show your support & embolden the spirits of BJP workers resisting such atrocities with sweat & blood.https://t.co/AqrB0rRS5chttps://t.co/FOVhFl1Je1#BanglaChayGonotontro
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 21, 2021
গত বছরও হয়তো এই দিনটা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ছিল অন্য মাত্রাবহক। আজ, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়, অবস্থান বদলেছে। আজ তিনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতা। তাই শাসকদলের মেগা শো-র পাল্টা দিতেই এবছর ২১ জুলাই এক বিশেষ কর্মসূচি গেরুয়া শিবিরের।
কিন্তু মুরলিধর সেনের অন্দরে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীর হাতে যে সব বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের স্মৃতিচারণ করা হবে তৃণমূল থেকে আসা নেতার হাত ধরেই! রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে বিজেপি অন্দরে দ্বন্দ্বের নতুন মাত্রা পেয়েছে। কারণ অনেকেরই প্রশ্ন, বিজেপির পুরনো কোনও নেতার হাতে দেওয়া হল না এই দায়িত্ব?
এদিকে, এবারের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানকে একেবারে সর্বভারতীয় স্তরে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এবার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনানো হবে ভিন রাজ্যেও। একুশের নির্বাচনে মমতার কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হয়েছেন মোদী-শাহ। তৃতীয় বারের জন্য বাংলার সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধাক্কা খেয়েছে মোদী-শাহের অপ্রতিরোধ্য গতি।
দেশজুড়ে মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি আঞ্চলিক দলগুলির মাঝেও বাংলার মেয়ের গুরুত্ব বেড়েছে। অন্যদিকে, জয়েক হ্যাটট্রিকে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলও। মমতার জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই দেশজুড়ে সংগঠন বাড়াতে চায় তৃণমূল। একুশের মঞ্চ থেকে চব্বিশে মোদী উত্খাতের শপথ নিতে পারে তৃণমূল। সেই প্রক্রিয়াই হয়তো শুরু হতে চলেছে। বলছেন বিশ্লেষকরা। আরও পড়ুন: একুশেই চব্বিশের বার্তা! সর্বভারতীয় ক্যানভাসে আজ তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষা