TET Scam: TET Scam: প্রাথমিকে চাকরি গেল আরও ১৪০ জনের, বেতন বন্ধেরও নির্দেশ বিচারপতির

TET Scam: বৃহস্পতিবারই হলফনামা জমা দেবেন ৫৯ জন। বেতন বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই নিয়ে প্রাথমিকে মোট ১৯২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

TET Scam: TET Scam: প্রাথমিকে চাকরি গেল আরও ১৪০ জনের, বেতন বন্ধেরও নির্দেশ বিচারপতির
চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ (ফাইল চিত্র)Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2023 | 2:20 PM

কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগে চাকরি গেল আরও ১৪০ জনের। আগেই বাতিল করা হয়েছিল ৫৪ জনের চাকরি। বুধবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৪০ জনের চাকরি বাতিল হল। বৃহস্পতিবারই হলফনামা জমা দেবেন ৫৯ জন। বেতন বাতিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই নিয়ে প্রাথমিকে মোট ১৯২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছে।

প্রাথমিকে নিয়োগে অনিয়মের জন্য যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, বুধবার তাঁদের মধ্যেই ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল হাই কোর্টে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগে ৫৪ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষক নিজেদের চাকরির পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন আদালতে। তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। সেই হিসাবে চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার ফের ১৪০ জনের হলফনামা জমা দেওয়া হয়। তাতে যা বক্তব্য ছিল, তাতেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিচারপতি। অভিযোগকারী মামলাকারীর বক্তব্য, ১৪০ জনের নিয়োগ সংক্রান্ত যে মেসেজ মোবাইলে পাঠানো হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, সেটি একই সময়ে পাঠানো হয়েছিল। একই মোবাইল থেকে পাঠানো হয়েছিল। অর্থাৎ কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থেকেই নিয়োগ সংক্রান্ত সেই মেসেজ পাঠানো হয়েছিল। সব থেকে উল্লেখ্যযোগ্য নথি ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, পর্ষদ তাঁদের প্রত্যেককেই এক নম্বর বাড়িয়ে দিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করেছিল। সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার পরই বিচারপতি তাঁদের প্রত্যেকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন।

আরও একটি বিষয় উল্লেখ্যযোগ্য, প্রাথমিকে নিয়োগে ২৬৮ জনের মধ্যে ১৯২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কেবল ২ জনের চাকরি পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন ভুলের জন্য তাঁরা অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। আরেক জনের ক্ষেত্রে বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর নথি আরও এক বার খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে বেনিয়ম করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ২৬৮ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, হাইকোর্টেই তাঁদের চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে। সেই হিসাবে তাঁরা হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা সন্তোষজনক লাগেনি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে।