Kolkata Bar: পানশালায় আকন্ঠ মদ খেয়ে নেশায় মাতাল? বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হতে পারে বার-কর্তৃপক্ষকেই
Kolkata: শীতের কলকাতায় পানশালাগুলিতে যেমন ভিড় বেড়েছে, একইভাবে বেড়েছে পথদুর্ঘটনার সংখ্যাও।
সুজয় পাল
দুর্ঘটনা কমাতে নয়া দাওয়াই পুলিশের। মদ্যপানের পর পানশালাতেই (Bar) পরীক্ষা দিতে হবে ‘নেশা’র। শহরের পানশালাগুলিতে অবিলম্বে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিল লালবাজার। সম্প্রতি এই নির্দেশ গিয়ে পৌঁছেছে বিভিন্ন পানশালায়। এই নির্দেশে তীব্র আপত্তিও তুলেছেন পানশালা মালিকরা। লালবাজারের তরফে যুগ্ম কমিশনার (সদর) এই নির্দেশ দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, পানশালা থেকে বেরোনোর সময় এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। চার চাকার গাড়ি ও বাইক চালিয়ে যাঁরা ফিরবেন, তাঁরা যাতে মাত্রাতিরিক্ত নেশা করে না ফেরেন সেই জন্যই এই নির্দেশিকা বলে লালবাজার সূত্রে খবর। মূলত শহরে পথদুর্ঘটনা কমাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। যদি কারও ব্রেথ অ্যানালাইজারে নেশার মাত্রা অতিরিক্ত ধরা পড়ে তাহলে পানশালা কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও ইতিমধ্যেই পানশালা মালিকরা এই নির্দেশের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শীতের কলকাতায় পানশালাগুলিতে যেমন ভিড় বেড়েছে, একইভাবে বেড়েছে পথদুর্ঘটনার সংখ্যাও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দু’ চাকার গাড়িতে দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠছে। একদিকে যেমন অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে, অনেকক্ষেত্রেই আবার দেখা যায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যও দুর্ঘটনা ঘটছে। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ নিয়ে প্রচার সত্ত্বেও অনেক সময়ই গতির বলি হচ্ছে এ শহরে।
তাই এবার পানশালাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পানশালাগুলিতে ব্রেথ অ্যানালাইজার রাখতে হবে। পানশালা থেকে মদ্যপান করে বেরোনোর সময় এই পরীক্ষা হবে। মূলত রাস্তায় গাড়ি আটকে যা পরীক্ষা পুলিশ করত, এবার তা পানশালা কর্তৃপক্ষকেও করতে হবে। আর তার জন্য যা যা করার তাও করতে হবে পানশালা কর্তৃপক্ষকে। প্রয়োজনে বাড়ি ফেরানোর দায়িত্বওই পানশালা কর্তৃপক্ষকেই নিতে হতে পারে। যদিও পানশালা মালিকদের একাংশের বক্তব্য, রাতের বেলা যে পরিস্থিতি তৈরি হয় তাতে যদি কারও নেশার মাত্রা অতিরিক্ত হয় তা হলে কর্তৃপক্ষই বা কীভাবে তাঁদের বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করবেন?
এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা চালু হলে পুলিশের কাজ অনেকটা সহজ হবে এটা ঠিক। প্রস্তাবটা খুবই ভাল প্রস্তাব। তবে এর বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাও স্বাভাবিক। সাধারণভাবে কোনও পানশালার মালিকই এতে রাজি হবে না। ওদেরও ইউনিয়ন আছে। সেটা ওরা কীভাবে নেবে সেটাও জানি না। এটা পুলিশের এমন প্রচেষ্টা, যা সফল হলে খুবই ভাল হবে। কিন্তু একইসঙ্গে বাস্তবতাটাও বুঝতে হবে। যিনি পানশালায় যাচ্ছেন, তাঁকে ব্রেথ অ্যানালাইজার দিয়ে যদি পরীক্ষা করানো হয় তা হলে তো মাত্রা অনেকক্ষেত্রেই ছাড়াবে।”