Medical College Kolkata: ২২ তারিখ ভোট হবে না, স্বাস্থ্য ভবন থেকে বেরিয়ে জানিয়ে দিলেন কলকাতা মেডিক্যালের অধ্যক্ষ
Medical College Kolkata: ইতিমধ্যেই অনশনকারী পড়ুয়াদের পাশে বসে প্রতীকী অনশন করেন অভিভাবকরা।
কলকাতা: কলকাতা মেডিক্যালের (Medical College Kolkata) অধ্যক্ষের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই দেখা করেন অনশনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা নির্বাচনের দিন ঘোষণার আর্জি জানান। এদিন বিকেল ৫টা অবধি সময় চেয়েছিলেন অধ্যক্ষ। সমাধান সূত্রের খোঁজে এদিন বিকেলেই স্বাস্থ্য ভবনে যান অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ। তবে তাতেও জটিলতা যে রয়েই গেল, তা বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে অধ্যক্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট। অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, “আলোচনা চলছে। বিষয়টা তো আর আমাদের কলেজ কাউন্সিলের হাতে নেই। সুতরাং আলোচনা যাতে জারি থাকে সেটা সবসময় আমরা চেষ্টা করছি। আলোচনা চলছে, সুরাহা বেরোবেই।” একইসঙ্গে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ জানিয়ে দিলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচন ২২ ডিসেম্বর সম্ভব নয়।
তাহলে কবে সম্ভব? কারণ এই নির্বাচনের দিন নির্দিষ্ট করে না বলায় পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। একদিকে অনশনরত পড়ুয়াদের শারীরিক পরিস্থিতি, অন্যদিকে অভিভাবকদেরও অনশনে যোগদান। এদিন অধ্যক্ষ বলেন, “আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরা তো বলেই গিয়েছেন অনশন তুলে নেওয়া হোক, নির্বাচন হবে। ২২ তারিখ হবে না, কিন্তু পরে দিন ঠিক হবে। এ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। এ তো আগে সকলেই বলে গিয়েছেন।”
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি ঘিরে এক সপ্তাহ ধরে ছাত্র আন্দোলন চলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে রাতভর কলেজের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করে রাখেন ছাত্ররা। মেডিক্যাল ছাত্র অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ তোলে, ২০১৬ সালের পর থেকে কলেজে ছাত্র সংসদের ভোট হয়নি। ভোট না করানো বাইরে থেকে রাজনৈতিক দলের প্রভাব জিইয়ে রাখার কৌশল বলেও অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপরই পাঁচ ছাত্র আমরণ অনশনের ডাক দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে স্বাস্থ্যসচিব দফায় দফায় সকলেই ছুটে গিয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালে। তবে আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবিতে অনড়। ২২ ডিসেম্বর ভোটের দিন ঘোষণার পরও কেন সেই ভোট স্থগিত রাখা হল, তার জবাব চান আন্দোলনকারীরা।