Mid Day Meal: ২০ টাকায় মাংস, ডিম, ফল আদৌ দেওয়া সম্ভব? মিড ডে মিলের নতুন বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির
Mid Day Meal: জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন মেনু নির্ধারণ করা হয়েছে। তার জন্য পড়ুয়া পিছু সপ্তাহে ২০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
কলকাতা: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য বরাদ্দ বাড়িয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। শুধু ডাল, ভাত, সোয়াবিন নয়, এবার পড়ুয়াদের পাতে পড়বে ডিম, মুরগির মাংসও। থাকছে মরসুমি ফলও। দফতর জানিয়েছে, জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন মেনু নির্ধারণ করা হয়েছে। বরাদ্দ বেড়েছে প্রতি সপ্তাহে পড়ুয়াপিছু ২০ টাকা করে। এখানেই প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। মাত্র ২০ টাকা বাড়িয়ে কীভাবে মাংস, ডিম বা মরসুমি ফল কচিকাচার পাতে তুলে দেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তাদের। ৩৭১ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ হয়েছে এই মিড ডে মিল নিয়ে। মিড ডে মিলে পড়ুয়ারা যাতে মাংস, মরসুমি ফল ও ডিম পায়, তাই পড়ুয়া পিছু বরাদ্দ হয়েছে সপ্তাহে ২০ টাকা। অর্থাৎ ৬ টি কাজের দিন ধরলে প্রতিদিন ৩ টাকা ৩৩ পয়সা। বর্তমান বাজার দরে এই টাকায় কি আর মাংস, ডিম জোটে? প্রশ্ন শিক্ষকদের।
প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতির বক্তব্য, “৩ জানুয়ারি রাজ্যের মিড ডে মিল প্রজেক্ট ডিরেক্টর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, কেন্দ্রের পোষণ প্রকল্পে ৩৭১ কোটি টাকা আরও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চার মাসের জন্য। কিন্তু যা টাকা বাড়ানো হয়েছে তাতে কীভাবে এই নতুন খাবার দেওয়া সম্ভব বুঝতে পারছি না। একটা কমলালেবুর দাম ১০ টাকা বাজারে। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, আমাদের এবার মিড ডে মিল থেকে অব্যহতি দিন। নাহলে ঠিকমতো টাকা দিন। এই মিড ডে মিল নিয়ে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীগুলির চোখের জল, নাকের জল এক হওয়ার অবস্থা। আমরা কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করছি। ছেলে মেয়েরা যেন পুষ্টিকর খাবার পায়।”
শিক্ষক সংগঠনের নেতা অনিমেষ হালদারেরও বক্তব্য, পিএম পোষণ খাতে ২০ টাকা বাড়িয়ে পৌষ্টিক আহার দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়। ছাত্র পিছু ২০ টাকায় সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস বা বড় জোর দু’দিন ডিম বা মরসুমি ফল দেওয়া সম্ভব। ফলে সরকার যদি সত্যি পড়ুয়াদের পুষ্টি নিয়ে ভাবিত হন, তাহলে বাজারদরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ করা উচিত।
এখন ১ কেজি মুরগির (গোটা) মাংসের দাম ১৫০ টাকার কাছাকাছি। একটা ডিমের দাম ৭ টাকা। একটা কমলালেবুও ৭ টাকার কাছাকাছি। এই টাকাতে কীভাবে মাংস, ফল দেওয়া সম্ভব প্রশ্ন তুলে আরেক শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, “আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে চার মাস ধরে এই বরাদ্দে খাবার দেওয়ার কথা বলছে।” যদিও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট নয়, বাচ্চারা খাওয়া দাওয়া যাতে ঠিকমতো পায় তার জন্যই বাড়াতে হয়েছে। বাচ্চাগুলোর যাতে খাবারে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্যই বাড়ানো হয়েছে।”