Bhangar Violence: ‘নওশাদ হলেন শুভেন্দুর ভাই’, কেন এমন বললেন শওকত?
Nawsad Siddiqui: নওশাদ 'সৎ মানসিকতা' নিয়ে যাওয়ার লোক নন বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক। বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের আঁতাতের তত্ত্বও উস্কে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। বলছেন, 'আসলে অপসংস্কৃতি, মিথ্যা কথা, প্রতারণা করা... এসব হল নওশাদের কাজ।'
কলকাতা: ভাঙড়ে যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয়েছে সেখানকার বিধায়ককেই। হাতিশালার কাছে আটকে দেওয়া হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে। রাস্তায় ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। এই নিয়েই আপাতত তুলকালাম কাণ্ড রাজ্য রাজনীতিতে। আসছে প্রতিক্রিয়া, পাল্টা প্রতিক্রিয়া। আর এসবের মধ্যেই মুখ খুললেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা। নতুন করে উস্কানি দেওয়ার অভিপ্রায় নিয়েই নওশাদ ভাঙড়ে যেতে চাইছেন বলে মনে করছেন শওকত। বলছেন, ‘আজ যাওয়ার উদ্দেশ্য হল, ওখানে গিয়ে উস্কানি দেওয়া, আবার নতুন করে কোনও মায়ের কোল খালি হোক। আবার রক্তাক্ত হোক গ্রাম। এই মানসিকতা নিয়েই উনি যাচ্ছেন।’
নওশাদ ‘সৎ মানসিকতা’ নিয়ে যাওয়ার লোক নন বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক। বিজেপির সঙ্গে আইএসএফের আঁতাতের তত্ত্বও উস্কে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। বলছেন, ‘আসলে অপসংস্কৃতি, মিথ্যা কথা, প্রতারণা করা… এসব হল নওশাদের কাজ।’ শুভেন্দু অধিকারীর মতো নওশাদ সিদ্দিকীরও বার বার আদালতে যাচ্ছেন, সেটি নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন শওকত। বললেন, ‘উনি (নওশাদ) হলেন শুভেন্দুর ভাই। শুভেন্দু যে কথা বলেন, উনিও সেই কথাই বলেন। গতকাল আমাকে একপ্রকার থ্রেটই দিয়ে দিল, কোর্টে দেখে নেবে। আমরাও বলছি, আমরাও আদালতে যেতে জানি।’
শুভেন্দু ও নওশাদকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক বলেন, ‘ শুভেন্দুবাবু জিরো হয়ে গিয়েছেন। আগামী দিনে জায়গাটা থাকবে কি না, তা ভেবে দেখুন। নওশাদ সাহেব আগামী দিনে ভাববেন, সময় বেশি নেই। মাত্র তিন বছর সময়। মানুষ শূন্য করে ওখান থেকে ফেরৎ পাঠাবেন।’ পাশাপাশি ভাঙড়ের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনাতে সিট দিয়ে তদন্ত করানোরও দাবি তোলেন তিনি। বললেন, ভাঙড়ে সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে নকশালপন্থীরা ঢুকে পড়ছে।’ আনিসকাণ্ডে যদি সিট গঠন হয়, তাহলে এক্ষেত্রে কেন হবে না? প্রশ্ন শওকতের। মুখ্যমন্ত্রী যাতে সিট গঠনের নির্দেশ দেন, সেই আবেদনও করেন শওকত।
উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সময় থেকে বার বার অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। রক্তারক্তি হয়েছে। রাজ্যপাল নিজে ছুটে গিয়েছিলেন ভাঙড়ে। আক্রান্ত আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ভোট পরবর্তী সময়েও পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি। গণনার রাতে নতুন করে অশান্ত হয়েছিল ভাঙড়। সেই অশান্তিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। দু’জন আইএসএফ কর্মী বলে দাবি। এমন পরিস্থিতিতে আজ ভাঙড়ে যাওয়ার কথা ছিল নওশাদের। কিন্তু মাঝপথেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। নির্বাচনের মনোনয়নের সময় থেকেই দলীয় কর্মী, সমর্থক ও প্রার্থীদের জন্য মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে নওশাদকে। অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ তুলে কখনও ছুটেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। কখনও বা গিয়েছেন আদালতে। আজ ভাঙড় যাওয়ার পথে নাটকীয় পরিস্থিতি। নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে পারছেন না বিধায়ক। পুলিশ তাঁর রাস্তা আটকে দিয়েছে। সাড়ে দশটা থেকে আটকে নওশাদ। তিনিও বদ্ধপরিকর, ভাঙড়ে যাবেনই।