Kartik Maharaj: পদ্মশ্রী কার্তিক ‘জঙ্গি’? তৃণমূলের দুই হুমায়ুনের দুই সুর
Kartik Maharaj: বিজেপি বিরোধীদের দাবি দিল্লির মসনদে ‘পদ্ম’ সরকার বসার পর থেকেই পদ্ম পুরস্কারেও রাজনীতিকরণ হচ্ছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তো পরিষ্কার বলছেন, “যাঁরা আরএসএস, বিজেপির ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে তাঁদের জন্য পুরস্কার। বাকিদের জন্য তিরস্কার।”
যদিও বিজেপি বিরোধীদের দাবি দিল্লির মসনদে ‘পদ্ম’ সরকার বসার পর থেকেই পদ্ম পুরস্কারেও রাজনীতিকরণ হচ্ছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তো পরিষ্কার বলছেন, “যাঁরা আরএসএস, বিজেপির ভাবাদর্শে বিশ্বাস করে তাঁদের জন্য পুরস্কার। বাকিদের জন্য তিরস্কার।” যদিও এসবে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ কার্তিক মহারাজ। তাঁর দাবি, যাঁর যেরকম দৃষ্টি সে অনুযায়ী ব্যখ্যা করবেন। তাঁর কথায়, “দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী আমার নাম উচ্চারণ করেছেন। এটা একটা বড় প্রাপ্তি।”
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলছেন, “উনি অনেকদিন থেকেই বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রয় সংঘে কাজ করছেন। ভারতের সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী দিচ্ছেন। এই সিদ্ধান্তে মুর্শিদাবাদবাসী হিসাবে আমরা খুশি। উনি যাতে আরও বেশি করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের সেবা করে যান সেটাই চাইব।” এরপরই ডেবরার বিধায়কের মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “জঙ্গি তো যাকে তাকে বলা যায় না। তাঁর সঙ্গে আমার কোনও কারণে মত বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু, জঙ্গি বলা খুবই অবিবেচকের মতো কাজ হবে। আমি ওনাকে ৪০ বছর ধরে দেখছি। কখনও কখনও তিনি আবেগের কারণে সনাতন ধর্ম নিয়ে কিছু কথা বলেন। কিন্তু জঙ্গি বলা ঠিক নয়।” ডেবরার হুময়ানুকে খানিক খোঁচাও দেন। ভরতপুরের হুমায়ুন বলেন, “ডেবরার বর্তমান বিধায়ক এই জেলায় একসময় পুলিশ সুপার ছিলেন। উনি তখন কার্তিক মহারাজ, অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে খুব ভাল সখ্য রেখে চলতেন। হঠাৎ করে কেন তিনি এমনটা বলছেন আমি জানি না। তাঁর ওই কথার সঙ্গে আমি এক মত নই।”