Hair Care: শীতের সঙ্গে খুশকির সমস্যাও দেখা দিয়েছে? কাজে আসবে শীতের ফল আমলকীই
শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও চুলের অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়ে। আমাদের আশেপাশের পরিবেশের উষ্ণতা একটু কমতে থাকলেই ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে।
শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও চুলের অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়ে। আমাদের আশেপাশের পরিবেশের উষ্ণতা একটু কমতে থাকলেই ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। একই হাল হয় স্ক্যাল্পেরও। ঠিক সেই কারণেই খুশকির প্রকোপ বাড়তে থাকে। এর জন্য আমরা নানা ধরনের প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করতে থাকি। কিন্তু ফলাফল সেইরূপ পাই না।
কিন্তু আপনি যদি মরসুমি ফলের সাহায্য নেন এবং ঘরোয়া উপায়ে এই খুশকির সমস্যা দূর করতে চান, তাহলে আপনার জন্য আমাদের কাছে রয়েছে একটি দারুণ প্রতিকার। এই শীতের মরসুমে বাজারে অনায়াসে পাওয়া যায় আমলকী। এই আমলকী চুলের জন্য খুব কার্যকরী। এর সঙ্গে যদি নিম পাতা যোগ করেন তাহলে উপকার পাবেন দ্বিগুণ।
বাড়িতে তৈরি করুন আমলকী ও নিম পাতার তৈরি হেয়ার ওয়্যাশ। এটি আপনার খুশকির সমস্যা দূর করবে এবং চুলে এনে দেবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। আমলকী পুষ্টির গুণে সমৃদ্ধ যা প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। গবেষণা অনুসারে, আমলকী ক্ষতিগ্রস্ত চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি, চুল পড়া রোধ এবং খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
আমলকীর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য চুলের ক্ল্যাল্পের সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। পাতলা ও শুষ্ক চুলের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত চুল ধোয়ার আগে আমলকীর তেল ব্যবহার করতে পারেন। আমলকীর তেল একটি দুর্দান্ত কন্ডিশনার এবং চুলকে একটি প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয়।
অন্যদিকে, নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকি এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং চুল পড়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় নিম একটি বহুল ব্যবহৃত ভেষজ।
নিম পাতায় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি সেপটিক, অ্যানালজেসিক, অ্যান্টি পাইরেটিক, অ্যান্টি ডায়াবেটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম আমাদের ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। চুলের জন্য নিম ব্যবহার করতে পারেন নানাভাবে। কীভাবে এই নিম ও আমলকী হেয়ার স্পে তৈরি করবেন ভাবছেন? দেখে নিন…
৩ থেকে ৪টি শুকনো নিম পাতার সঙ্গে ১০ থেকে ১২চামচ আমলকীর রস ও ২৫০ মিলি জল মিশিয়ে নিন। এবার এই স্প্রেটি স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে সমগ্র চুলের ওপর লাগান এবং ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এরপর এটা ২০ মিনিটের জন্য চুলে রেখে দিন। তারপর কুসুম কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চুলের স্বাস্থ্যকে উন্নত করার জন্য আপনি সপ্তাহে অন্তত একবার বা দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বিয়ের দিন উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান? কয়েকদিন আগে থেকেই মেনে চলুন এই স্কিন কেয়ার টিপস
আরও পড়ুন: আপনি চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না ত্বক ও চুলের এই ৫টি বিষয়
