রূপচর্চায় নয়া ট্রেন্ড ছাগলের দুধ! এই ম্যাজিক উপকরণের উপকারিতা জানুন এখানে
ছাগলের দুধ ও মানুষের ত্বকের পিএইচ এক। তাই এই কারণেই ছাগলের দুধ সবচেয়ে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য পুষ্টিকর উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের পরিচর্চার জন্য বিভিন্ন রকম পণ্যে প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে। করোনার জেরে আমরা প্রায় দে়ড় বছরের বেশি ঘরবন্দি, তাই মানুষজন ত্বকের দেখভালের জন্য প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন মেকআপ ও পণ্যে ব্যবহার করা শুরু করেছে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল, নামী-দামি স্কিনকেয়ার পণ্য না কিনে যদি সদি সত্যিকারের প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের পরিচর্চার জন্য ব্যবহার করেন, তার থেকে ভাল কিছু হয় না। ছাগলের দুধ। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। ছাগলের দুধ এখন ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য অন্য়তম জনপ্রিয় উপাদান। বিশেষজ্ঞদের মতে, ছাগলের দুধ একটি দুর্দান্ত এক্সফোলিয়েটরের পাশাপাশি ত্বককে আর্দ্র ও হাইড্রেশন রাখতে সাহায্য করে।
ছাগলের দুধে রয়েছে বেশ কয়েকটি সুবিধা। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত বিকল্প উপাদান। ছাগলের দুধ ও মানুষের ত্বকের পিএইচ এক। তাই এই কারণেই ছাগলের দুধ সবচেয়ে সংবেদনশীল ত্বকের জন্য পুষ্টিকর উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।ছাগলের দুধে ত্বকের মধ্যে প্রাকৃতিক মাইক্রোবায়োমকে নষ্ট করে না । এতে রয়েছে ভিটামিন, ফ্যাট, প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধের সংমিশ্রণ, যা সব ত্বকের জন্যই সমান ভাবে পরিচর্চার কাজে লাগে।
রুক্ষ-শুষ্ক ত্বকের জাদুকরীর মতো কাজ করে ছাগলের দুধ। এতে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য। তাই ত্বকের জ্বালাভাব, চুলকানি ও ত্বকের নানান সমস্যা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
ছাগলের দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা অতি উত্তম একটি উপাদান। ছাগলের দুধে রয়েছে হিউমেকট্যান্ট, যা পরিবেশ থেকে আর্দ্রতা টেনে নিয়ে ত্বকের জেল্লাভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিডের উচ্চমানের ঘনত্ব। স্কিনকেয়ারের জন্য ছাগলের দুধ অন্যতম উপকরণ। এর ল্যাকটিক অ্যাসিডের কারণে হালকা আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বকের মৃতকোষকে অপসারণ করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা, মসৃণ ও কোমলভাব ছাদলের দুধের কোনও বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: Skin care: ত্বকের পরিচর্চার জন্য নতুন ট্রেন্ড গ্রিন কফি! উপকারীতা জানলে অবাক হবেন