ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়েই বানান পিল-অফ মাস্ক! কার কোন মাস্ক দরকার, জেনে নিন

নরম তুলতুলে ও মসৃণ ত্বক পেতে আজ থেকেই বিউটি রুটিনে যোগ করুন পিল-অফ মাস্ক। বাজারচলতি ও অনলাইনে এমন দুর্দান্ত মাস্ক খুঁজলেই পেয়ে যাবেন। তবে ঘরোয়া উপায়েও বানিয়ে নিতে পারেন পিল-অফ মাস্ক।

ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়েই বানান পিল-অফ মাস্ক! কার কোন মাস্ক দরকার, জেনে নিন
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 12:37 AM

রূপচর্চা মানেই কি শুধু মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা। ত্বকের পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজন ফেশিয়াল মাস্ক। সমস্যাহীন ও নরম তুলতুলে ত্বক পেতে নিজের জন্য কিছুটা হলেও সময় বের করুন। ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা অবাঞ্ছিত নোংরা দূর করতে ও শুষ্ক ত্বককে নরম ও কোমল করে তুলতে পিল-অফ মাস্কের বিকল্প নেই। মুখের মধ্যে তরতাজাভাব, ক্লান্তিভাব দূর করে একটি ফ্রেস লুক আনবে এই মাস্ক। ভাবছেন, তৈলাক্ত, শুষ্ক ত্বকের জন্য আলাদা আলাদা মাস্ক থাকবে? একেবারেই তা নয়। অন্যদিতে ত্বকের মধ্যে মৃতকোষকে দূরে সরিয়ে মুখের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ত্বকের গভীরে জমে থাকে ময়লা টেনে দূর করতে এই মাস্ক বেশ কার্যকরী। ত্বককে আদ্র রাখতে ও সতেজ রাখতেও পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া, সঠিক স্কিন প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, বিশেষ করে সবুজ সবজি খাওয়া, সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে বাঁচতে সঠিক লোশন ব্যবহার করা, শোওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে নেওয়া- দৈনন্দিন ত্বকের দেখভালের জন্য এই কাজগুনি মেনে চলা আবশ্যিক। ত্বকের সঠিক পরিচর্চার জন্য যে স্বাস্থ্যকর অভ্যেসগুলি মেনে চললে থাকবে না কোনও সমস্যা। তা সত্ত্বেও ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ, পিম্মপল, বলিরেখার মতো সমস্যা পিছু ছাড়ে না।

আরও পড়ুন: ত্বকের সুরক্ষায় প্রোবায়োটিকের প্রয়োজন কতটা, জানেন?

ত্বকের ছিদ্রগুলি বুজে যাওয়ার পিছনে রয়েছে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত প্রাকৃতিক তৈল। যখন এই তেল বেশি উত্‍পাদিত হয়, তখন ছিদ্রগুলি বুজে যায়। সঙ্গে বাইরে ধুলোবালি আটকে যায়। এর জেরে ত্বকের লাবণ্য, কোমলতা কমে যায়। এমন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই তা সঠিক ও ঘরোয়া উপায়ে পরিষ্কার করা দরকার। তার জন্য চাই পিল-অফ মাস্ক।

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে পিল-অফ মাস্ক তৈরি করবেন, কার কোন মাস্ক দরকার, সবটা জেনে নিন একঝলকে…

ত্বকের ব্রণর সমস্যা হলে

একটি বোলে এক টেবিল স্পুন আনফ্লেভারড জেলাটিন পাউডার নিন। তাতে ২ টেবিলস্পুন জল দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কয়েক মিনিট পর মিশ্রণটি গাঢ় ও থকথকে হয়ে গিয়েছে। পিল-অফ মাস্ক তৈরি করার জন্য তাতে ১ টেবিলস্পুন মধু ও ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করুন। ১০-১৫ মিনিট রাখুন। শুকনো হয়ে গেলে তুলে ফেলতে হবে।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

একটি ডিমের সাদা অংশ ও ১ টেবিলস্পুন লেবুর রস নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেটি গোটা মুখের মধ্যে ব্যবহার করুন। এটি পিল-অফ মাস্কের মতোন না হলেও ত্বকে টোন আনতে ও ছিদ্রগুলি থেকে ময়লা দূর করতে দারুণ সমাধান।

আরও পড়ুন: চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই ৪ জনপ্রিয় হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলুন!

নিস্তেজ ত্বকের জন্য

একটি পাত্রে ১ টেবিলস্পুন আনফ্লেভারড জেলাটিন পাউডারের সঙ্গে অল্প গরম জল ভাল করে মিশিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে তাতে ফোটানো মিন্টের পাতা দিয়ে ব্লেন্ড করে একটি থকথকে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণের মধ্যে ৪-৫ ফোঁটা লেবুর রস দিন। দুর্দান্ত উপকারী এই পিল অফ মাস্কটি ৫-৭ মিনিট ত্বকের মধ্যে রাখুন। শুকিয়ে গেলে তা সাবধানে তুলে নিন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য

একটি পাত্রে ২ টেবিলস্পুন মধু ও ১/৪ কাপ দুধ নিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। মিশ্রণটি বেশ ঘন হয়ে গেলে কটন প্যাডস দিয়ে মুখ, গলা, হাতের ত্বকের উপর ব্যবহার করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে সাবধানে তুলে নিন।