Skin Care Diet: ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে আপনার ডায়েটও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
চর্বি ছাড়াও কিছু খাদ্য সামগ্রী রয়েছে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়ার গতি কম করতে সহায়তা করতে পারে। এগুলি হল: ডালিম, অ্যাভোকাডো, কিউই, কমলা, টমেটো, গ্রিন টি এবং আখরোট।
ত্বকের প্রসঙ্গ এলেই আমরা যা পরামর্শ পাই তাই বিশ্বাস করে ফেলি। বিশেষ করে যেহেতু ত্বকের ধরন ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হয়, তাই জন্যই এরকম ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কিছু প্রাথমিক ত্বকের যত্নের নিয়ম রয়েছে যা আবহাওয়া, ত্বকের গঠন এবং অন্যান্য বাহ্যিক অবস্থা নির্বিশেষে প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য।
মজার বিষয় হল, এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। আপনার ডায়েট, আপনি আপনার খাবারে চর্বি অন্তর্ভুক্ত করেন কি করেন না তার সঙ্গেও এর যোগ রয়েছে।
তাঁর সাম্প্রতিক একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, পুষ্টিবিদ এনমামি আগরওয়াল অকাল বার্ধক্য এবং ফ্যাটের মধ্যে একটি লিঙ্ক ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “সুস্থ এবং উজ্জ্বল ত্বক আমরা সবাই চায়। কিন্তু স্বাভাবিক ধারণা অনুযায়ী শুধুমাত্র দূষণই যে আমাদের ত্বকের ক্ষতি করে তা কিন্তু নয়। আমাদের খাবারের ওপরও ত্বকের ভাল বা খারাপ প্রভাব জড়িয়ে আছে।”
তিনি বলেছেন, “আপনার ডায়েটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত করুন। ডায়েটে চর্বি একেবারেই না রাখলে তা অকাল বার্ধক্য সৃষ্টি করতে পারে।”
View this post on Instagram
পুষ্টিবিদদের মতে, মাছ, বাদাম, আখরোট এবং কুমড়ার বীজের মধ্যে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, “এটি আপনার ত্বককে দীপ্তিময়, উজ্জ্বল এবং দাগ থেকে মুক্ত রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।”
পূর্বে, তিনি সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কথা বলেছিলেন যা প্রাথমিক বার্ধক্যের কারণ হতে পারে – ধূমপান, অ্যালকোহল আসক্তি, অতিরিক্ত চাপ, সূর্যের অতিরিক্ত এক্সপোজার, চরম ঠান্ডা তাপমাত্রা, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব এবং কম ওজন কিংবা অতিরিক্ত ওজন।
অতিরিক্ত ধূমপান আমাদের ফুসফুসে যে স্থায়ী প্রভাব ফেলে দেয় সে কারণে আমাদের মুখেও কিছু কিছু দাগ স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে। একইভাবে অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য আমাদের পাকস্থলী মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে আমাদের হজমের সমস্যা হতে পারে। হজমের সমস্যার সঙ্গেও ত্বকের স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ আমাদের মানসিক ভাবে অসুস্থ করে তোলে। মানসিক অসুস্থতা ঘুমের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। প্রয়োজনীয় ঘুম না হওয়ার কারণেও ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চরম ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় ত্বকে জলের পরিমাণ কমে যায়, এতে ত্বক শুকিয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে চামড়ায় টান পড়ে আর চামড়া ফাটতে শুরু করে। অতিরিক্ত সূর্যের এক্সপোজার পেলেও ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে এবং কাছাকাছি একই পরিণতি হয়। অতিরিক্ত ওজন যেমন আপনার ত্বকে ভাঁজ আনতে পারে তেমনই কম ওজন আপনার ত্বকে ভাঁজের সৃষ্টি করতে পারে।
পুষ্টিবিদ বলেছিলেন যে চর্বি ছাড়াও কিছু খাদ্য সামগ্রী রয়েছে যা বার্ধক্য প্রক্রিয়ার গতি কম করতে সহায়তা করতে পারে। এগুলি হল: ডালিম, অ্যাভোকাডো, কিউই, কমলা, টমেটো, গ্রিন টি এবং আখরোট।
আরও পড়ুন: থাইরয়েডের সমস্যা? খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এই গুলিকে..