Reuse of old saree: মা- ঠাম্মির স্মৃতি বিজড়িত পুরনো শাড়িকে বদলে দিন নতুন রূপে, রইল দারুন কিছু আইডিয়া
Saree and recycle: কোনও জমকালো শাড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন একেবারে আধুনিক স্টাইলের মডার্ন কাটের পালাজো। তার সঙ্গে টপ বা কুর্তা হিসেবে বেছে নিতে পারেন মোনোক্রোমিক বা জিওমেট্রিক প্যাটার্ন। মায়ের শাড়িই তা হলে হয়ে উঠবে এ বার আপনার পালাজো
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জিনিস থেকে অনুভূতি… সব কিছুরই বদলে যাওয়া নিয়ম। বরং আঁকড়ে রাখলে মুশকিল। তবে কোনও কিছুই যায় না ফেলা। তাই চিরাচরিত ভাবনা বদলানো বড় দরকার। মা আর ঠাকুমার শাড়ি মানে মেয়েদের কাছে নস্ট্যালজিয়া। আঁকড়ে থাকা আর আঁকড়ে রাখাই নিয়ম। কিন্তু শাড়িরও বয়স হয়। বদলে যায় তারাও। শাড়ির ক্ষমতা কমে। জৌলুস হারায়। তাই সেই স্মৃতি বিজড়িত শাড়িগুলোকেই চেষ্টা করে দেখুন না নতুন রূপ দিতে পারেন কি না। শাড়ি পড়ে থাকলে এমনিই তা ভাঁজে ভাঁজে ফেঁসে যায়। এক্ষেত্রে শাড়ি নষ্ট হতে না দিয়ে কাজে লাগান এভাবে। এতে শাড়িও থাকবে আর থাকবে তার স্পর্শও।
পুরনো জামদানি বা কটন ইক্কত যে কোনও বাঙালি নারীর আভিজাত্যের নিদর্শন। সেই শাড়ি দীর্ঘদিন পরা না হওয়ায় পুরনো দেখতে হয়ে গেলে ফেলে দেবেন না। এমনকী দানও করে দেবেন না। বরং লম্বা করে কেটে নিন। ভাল করে মুড়ে নিন চার ধার। তার পর জানালায় পর্দার সাইজে কেটে ঝুলিয়ে দিন। দেখবেন ঘরের শোভা পাল্টে দিয়েছে এই একটি মাত্র ছোঁয়ায়। এর সঙ্গে যদি ম্যাচিং করে ইন্ডোর প্ল্যান্ট রাখেন তাহলে তো কথাই নেই।
গরম কালে পরার জন্য আদর্শ হল বাটিকের কাজ করা শাড়ি। নরম এবং দারুণ সব প্রিন্ট। তবে বহু ব্যবহারে সামান্য রঙ চটতে শুরু করেছে? তা হলে সেই শাড়ি কেটে বটুয়া বা নানা আকারের পার্স বানান বাড়ির মহিলা সদস্যদের জন্য। আবার গিফটও করতে পারেন এই সব বটূয়া। যাকে দেবেন তিনি চমকে যাবেন। নিজেও যে কোনও অনুষ্ঠানে শাড়ির সঙ্গে নিয়ে নিন ম্যাচ করে। এখন ইন্ডিগো প্রিন্টের শাড়ি থেকেও অনেকে এমন ব্যাগ বানিয়ে নেন।
বেনারসি বা কাঞ্জিভরমের দোপাট্টা আজকাল ফ্যাশনে বেশ ইন। যে কোনো সাদামাঠা কুর্তি বা চুড়িদারের সঙ্গে যদি এমন ভারী জমকালো কোনও ওড়না পরা যায়, তা হলেই কেল্লা ফতে। বাহারি ওড়না ছাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন সুন্দর লং স্কার্ট। অনেকেই এই লং স্কার্টের সঙ্গে স্ট্র্যাপি টপ, ওড়না দিয়েও পরছেন লেহঙ্গার মত করে। মায়ের বেনারসি,ঠাকুমার স্বর্ণকাতান, বালুচরি বা জামদানির কদর আলাদাই। কিন্তু একটা সময় পরে এ রকম ধরনের ভারী শাড়ি জৌলুস হারায়। সে রকম হলে পুরনো শাড়ির আঁচল কেটে নিন। আঁচলের চার ধারে ভাল করে সেলাই করে নিন। চাইলে কোনও অন্য শাড়ির পাড় ব্যবহারও করতে পারেন। এ বার সেই টুকরো অংশ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন জমকালো কোনও লেহঙ্গার প্যাচ, চোলির অংশ। শাড়ির জমি যদি নানা কারুকাজে ভরা থাকে, সেটিও এই একই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
কোনও জমকালো শাড়ি দিয়ে বানিয়ে ফেলুন একেবারে আধুনিক স্টাইলের মডার্ন কাটের পালাজো। তার সঙ্গে টপ বা কুর্তা হিসেবে বেছে নিতে পারেন মোনোক্রোমিক বা জিওমেট্রিক প্যাটার্ন। মায়ের শাড়িই তা হলে হয়ে উঠবে এ বার আপনার পালাজো। এখন অনেকেই ক্রপ টপ পরেন। পুরনো বা ছিঁড়ে যাওয়া শাড়ি থেকে বানিয়ে নিতে পারেন ক্রপ টপ। শাড়ি দিয়ে বানানো ক্রপ টপ দেখতে যেমন ভাল হয় তেমনই ফ্যাশনের দিক থেকেও কিন্তু সেরা লাগে। ডেনিমের সঙ্গে পরতে পারেন এই ক্রপ টপ। পুরনো কাঁথাস্টিচের শাড়ি থাকলে তাই দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন জ্যাকেট। শীতের দিনে শাড়ি আর জ্যাকেটে খুব ভাল ফ্যাশন করা যায়।