Winter Shawl: ফুলকারি থেকে কাঁথা, চাদরে মোড়া উষ্ণতাতেই জমুক বড়দিনের মজলিশ!
Traditional shawl: বাক্সবন্দি শালের গায়ে জড়িয়ে থাকে অজস্র নস্ট্যালজিয়া। পুরনো স্মৃতি যেমন ফিরে আসে শালের উষ্ণ আলিঙ্গনে তেমনই কিন্তু ফ্যাশনের যাবতীয় লাইমলাইট কাড়তে একাই একশো এই শাল...
শীত মানেই জমজমাট আড্ডার মজলিশ। ধোঁয়া ওঠা গরম এককাপ কফি, কুকিজ, নানা স্বাদের কেকে কীভাবে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হয়ে যায় তা টেরও পাওয়া যায় না। আড্ডার সঙ্গে ফটোসেশনও কিন্তু মাস্ট। তবে জানেন কি ফ্যাশনের জন্য সবচেয়ে স্টাইলিশ মরশুম হল এই শীত। ঠান্ডায় জুবুথুবু হয়ে নয়, বরং হরেক পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। আলমারিতে কিছু শাল, জ্যাকেট আর সোয়েটার থাকলেই চলবে।
শীতের দিনে শাড়িতেই করা যায় বাজিমাৎ। অনেকেই ঠান্ডার ভয়ে শাড়ি এড়িয়ে চলতে চান। বরং তাঁদের কাছে প্রথম পছন্দ থাকে সালোয়ার কিংবা ওয়েস্টার্ন। তবে শীতের ঘরোয়া পার্টিতে শাড়িতেও কিন্তু দুর্দান্ত ফ্যাশন করা যায়। পোলো নোক কিংবা ক্রম টপ দিয়ে যেমন শাড়ি পরতে পারেন তেমনই শাড়িকর আঁচলটা কায়দা করে পেঁচিয়ে নিন গলায়। খানিকটা স্কার্ফের আদলে। এতে যেমন নতুন একটা লুক পাওয়া যায় তেমনই কিন্তু দেখতেও বেশ ভাল লাগে। শাড়ির উপর জ্যাকেট নয়, বরং ব্লাউজের কায়দাতেই পরতে পারেন জ্যাকেট। কোমরে থাক বেল্ট এতেও কিন্তু ভীষণ স্মার্ট লাগে। প্লেন কাজের ফুলস্লিভ ব্লাউজ দিয়ে পরতে পারেন ট্র্যাডিশন্যাল সিল্ক শাড়ি। এতে যেমন আভিজাত্য বজায় থাকবে তেমনই পার্টির মধ্যমণি হিসেবে সেদিন নজর কাড়বেন আপনিই।
কড়া নাড়ছে খ্রিস্টমাস। শুরু হয়েছে ছুটির মরশুম। পার্কস্ট্রিট সেজে উঠেছে আলোর মালায়। উইক এন্ডে অনেকেই কাছের বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে হাউস পার্টির প্ল্যান করেছেন। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। আবার সামনেই যাঁদের বিয়ে তাঁরাও এই বড়দিনের ছুটিতেই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সেরে ফেলতে চাইছেন ব্যাচেলার্স পার্টি। আজকাল কাজের চাপ সকলেরই। ফলে সবাইকে একসঙ্গে জড়ো করাটা বড়ই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়।
শীত তো জমিয়ে পড়েছে, কিন্তু কীভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলা যায় খ্রিস্টমাস পার্টির জন্য, এই বিষয়ে আমরা টিপস চেয়েছিলাম ডিজাইনার অনুপম চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। অনুপমের পরামর্শ, ‘বড়দিন মানেই লাল-সাদা রং নয়। বরং এমন কিছু পরুন যা আপনার পছন্দের। প্যাস্টেল শেড থেকে পছন্দসই রং বেছে নিতেই পারেন। অলিভ গ্রিন, খয়েরি, কালো, নীলের বিভিন্ন শেড কিন্তু এই সময় দেখতে বেশ ভাল লাগে’।
লং বুট দিয়ে ট্রেঞ্চ কোর্ট, ফারের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, লেদার জ্যাকেট যা কিছু পরতে পারেন। আর যদি পোশাকে চান ইন্দো ওয়েস্টার্ন ছোঁয়া তাহলে চোখ বন্ধ করে আলমারি ঘেঁটে তুলে আনুন হরেক চাদর। জিনস, কুর্তা কিংবা শাড়ির সঙ্গে দেখতে ভীষণ স্মার্ট লাগে এই সব চাদর। আগেকার দিনে কিন্তু এই বাহারি চাদরেই নিজেদের আভিজাত্য বুঝিয়ে দিতেন ঠাকুমা-দিদারা।
পশমিনা, ফুলকারি, উলের চাদর, কাঁথা, বেনারসি চাদর, ভাগলপুরি চাদর, কাঞ্জিভরম চাদর, ইক্কতের চাদর, মুগার কাজ করা তসরের চাদর…আরও কত কী! এই সব চাদর কিন্তু কোনও দিনই পুরনো হয় না। ফ্যাশনে সব সময়ের জন্য হিট। কালো হাইনেক টপ কিংবা কালো লং জ্যাকেটের সঙ্গে ভীষণ ভাল লাগে কাঁথা। শীত মানেই কিন্তু নানা ভাবে নিজেকে সাজিয়ে তোলা। যে ফ্যাশনে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তেমন ভাবেই সাজিয়ে তুলুন নিজেকে।
আরও পড়ুন: Neha Dhupia: শীতের দিনে নজর কাড়তে নেহার মত হট থাকতে বেছে নিন ভেলভেট কাফতান!