Longevity: সেঞ্চুরি পার করার ইচ্ছে আছে? তাহলে আজ থেকে পাতে রাখুন এই ৫ খাবার!
বিভিন্ন গবেষণা বলছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডায়েটের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘায়ু হওয়ার মূলমন্ত্র। একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই তাঁর বয়সসীমা নির্ধারণ করে।
দীর্ঘায়ু জীবন চান? দীর্ঘ জীবনের আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে আপনার খাদ্যাভাসের ওপর। যদি বেশিদিন এই পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে চান তাহলে খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে আপনার আরও সচেতন হওয়া উচিত। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডায়েটের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘায়ু হওয়ার মূলমন্ত্র। একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই তাঁর বয়সসীমা নির্ধারণ করে। সম্প্রতি স্বনামধন্য এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিশেষজ্ঞ ড জেমস ডি নিকোলান্টোনিও ১০০ বছরেরও বেশিদিন বেঁচে থাকার জন্য যে যে খাবারগুলি খাওয়া দরকার, তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন।
কাঁচা মধু- কাঁচা মধুতে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদান হৃদরোগের পাশাপাশি নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ হেলথ-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছিল যে “মধুর প্রভাবগুলি নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার যেমন স্তন, লিভার এবং কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সেল উপর প্রয়োগ করা হয়েছে।” গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে “মধু টিউমার বা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাইটোটক্সিক, যদিও এটি স্বাভাবিক কোষের জন্য অ-সাইটোটক্সিক।”
গোট কেফির- ক্যান্সার নিঃসন্দেহে বিশ্বের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। ছাগলের কেফিরে পাওয়া প্রোবায়োটিকগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে ক্যান্সারের টিউমারের বৃদ্ধি কমাতে পারে। একাধিক টেস্ট টিউব গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে। মেডিসিনাল ফুড জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে “কেফির নির্যাস মানুষের স্তন ক্যান্সার কোষের সংখ্যা ৫৬ শতাংশ কমিয়েছে।”
বেদানা- বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ যেমন ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ বেদানা দীর্ঘায়ু হওয়ার পিছনে অন্যতম ভূমিকা রাখে। এই ফলের অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-টিউমার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দীর্ঘ জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। ‘নেচার মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জানা গেছে, ডালিমের মধ্যে মাইটোকন্ড্রিয়া নামক একটি অণু থাকে, যার ক্ষয় হলে পেশী দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
বাসি ও পচা খাবার- পচে গেঁজে যাওয়া খাবার আপনার বিপাকীয় হারকে পরিবর্তন করতে পারে। অর্থাত্ পাকস্থলীর খাবার হজম করার উপায় পরিবর্তন করতে পারে। গেঁজে যাওয়া খাবারগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যগুলির সঙ্গে প্রোবায়োটিক থাকে। তাতে স্বাস্থ্যকর বার্ধক্য এবং দীর্ঘায়ু সম্পর্কিত মানবদেহে নির্দিষ্ট ক্রিয়াগুলিকে সংশোধন করতে পারে।
কাঁচকলা- কাঁচকলা যে একটি প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য উপস্থিত। এই উপাদানের জন্য পেটে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়াগুলির জন্য খাদ্য সরবরাহ করে, যা রক্তচাপ কমাতে আরও সাহায্য করতে পারে। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, একটি কাঁচকলা খেলে কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।
আরও পড়ুন: Viral Video: ফের গুজরাত! এবার ‘পান ব্রাউনি’ রেসিপির ভিডিয়ো দেখে হতভম্ব নেটদুনিয়া