চট করে বানানো মুখরোচক চাট, খেলেই ঝরবে ওজন!
ওজন কমানোর ডায়েট! কথাটা শুনলেই বেশিরভাগ লোকের মনে হয়, বাকিজীবন বোধহয় এবার তেলহীন আলুনি সব্জি চিবিয়েই কাটাতে হবে!
তেলহীন, নুন হীন সবুজ শাকসব্জি ওজন ঝরাতে সাহায্য করে ঠিকই। তবে সেটা মেদ ঝরানোর একটা উপায়। অন্য উপায়ও আছে। আর সেই উপায়ে প্রতিদিন বদল হয় জিভের স্বাদ! মন হয় খুশ। অথচ খাবারও হয় পুষ্টিকর উপাদানে পূর্ণ। ওজনও কমে হুড়হুড়িয়ে। কী সেই উপায়? সেই উপায়ের নাম ‘স্বাস্থ্যকর চাট’!
রাজমা চাট: জিভে জল আনা চাট বানাতে দরকার একবাটি সেদ্ধ, জল ঝরানো রাজমা। সেদ্ধ রাজমায় এবার ইচ্ছে হলে যোগ করতে পারেন যতখুশি শসা, টম্যাটো, গাজরের স্যালাড, ধনে পাতা আর পেঁয়াজ কুচি! অন্যান্য সব্জিও দেওয়া যায়। দিতে পারেন চাট মশলা। আবার ইচ্ছে হলে সামান্য নুন আর গোলমরিচ মিশিয়েও খাওয়া যায়। আর খুব ইচ্ছে হলে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মেশাতেও পারেন।
মাশরুম-ফলের চাট: আনারস, আপেল, কয়েকটুকরো কিউয়ি’র সঙ্গে মেশান মাশরুম! হ্যাঁ ঠিকই, দিতে হবে মাশরুম। এবার একটা বড় বাটিতে ফল আর মাশরুমের মধ্যে দিন একটু কেচআপ, সামান্য দই, সামান্য লাল লঙ্কার গুঁড়ো, একটা কাঁচা লঙ্কা কুচানো, কুচানো ধনে পাতা, চাটমশলা। সবসমেত একটু টস করে নিন এবার। এবার স্কিয়ার মধ্যে ফল আর মাশরুম ঢুকিয়ে গ্রিল করে নিন কয়েক মিনিট। ব্যস তৈরি হয়ে গেল ভিটামিন খনিজে পূর্ণ ফলের চাট।
আম-ছোলা চাট: সুস্বাদু এই চাটের জন্য দরকার একবাটি সেদ্ধ করা ছোলা। কুচনো কাঁচা আম। ঝুরঝুরে করে কুচনো পেঁয়াজ, টম্যাটো এবং শসা। সবকটি উপাদান এবার একসঙ্গে মেশাতে হবে। দিতে পারেন সামান্য মাত্রায় চাট মশলা। তবে একটু নুন আর গোলমরিচেই আসল স্বাদ খুলবে। ব্যস! আর কী, তৈরি হয়ে গেল ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজে পূর্ণ স্বাস্থ্যকর চাট!
আরও পড়ুন: চটপটা তন্দুরি ডিমেই জমবে বৃষ্টিভেজা সন্ধ্য়ে! রেসিপিটি জেনে নিন আজই
অঙ্কুরিত ছোলা, অঙ্কুরিত মুগ আর ভুট্টার চাট: চরম স্বাস্থ্যকর অথচ মুখগহ্বরে লালা নিঃসরণ করানো এই চাট বানানো কোনও ব্যাপারই নয়। অসাধারণ এই চাট বানানোর জন্য দরকার, ভুট্টা, অঙ্কুরিত ছোলা আর মুগ। কুচানো পেঁয়াজ, টম্যাটো, আর সামান্য চাট মশলা। সারাদিনে যে কোনও সময় খিদে পেলেই বানিয়ে নিতে পারেন এই চাট। এই চাটে প্রোটিন রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। ফলে যতই খান ফ্যাট বাড়বে না, বাড়বে পেশি!
ডিম চাট: আহা! ডিম ছাড়া কি আর চাট জমে! সুতরাং ঝটপট গোটাচারেক ডিম সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে ছুরি বা সুতো দিয়ে কেটে ডিম করুন চারভাগ। আর তার সঙ্গে যদি মিশে যায় তেঁতুলের চাটনি, সামান্য কেচআপ, পাতিলেবুর রস, এক চিমটে সৈন্ধব লবণ— ব্রহ্মতালুতে টকাস করে শব্দ হবেই! ইচ্ছে হলে শসা আর টম্যাটোর টুকরোও যোগ করতে পারেন। একবার ডিম চাট খেলে দিনটা জমে যাবে নিশ্চিত!