Blood Sugar: সুগার বাড়ছে? পুষ্টিবিদরা বলছেন রোজ এই ভাবে ওটস খান…
Oats Recipe: শরীরের জন্য ওটস খুবই বাল। ওটসের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। ক্যালোরি একেবারেই নেই। যে কারণে কিন্তু ব্রেকফাস্টে ওটস খেতে বল্ন পুষ্টিবিদরা
আমরা শরীরের কথা মোটেই কিন্তু সব সময় ভাবি না। মন ভাল রাখতে খাবার খেয়েই যাচ্ছি। তাতে পুষ্টিগুণ কতটা থাকছে বা সেই খাবার আমাদের শরীরের উপর কতটা প্রভাব ফেলছে এমনটা কিন্তু অনেকেই ভাবেন না। আর আমরা যখন খাবার খাই, তখন সেই খাবার ভেঙেই কিন্তু গ্লুকোজ আসে। আর সেখান থেকে শরীর পায় পুষ্টি। এবার শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিন্তু তখন খুবি মুশকিল। কারণ একবার চিনি যুক্ত খাবার বা অতিরিক্ত শর্করা খেতে শুরু করলেই কিন্তু ওজন বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যাও। আর যত পরিমাণ ক্যালোরি জমা হয় তার কিছুই প্রায় খরচ হয় না। আর এরজন্য শরীরে ফ্যাট বাড়ে, সেই সঙ্গে মাত্রা চড়ে ডায়াবিটিসেরও।
বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই সংখ্যা আজকাল এতই বেড়েছে যে প্রতি ঘরেি একজন করে ডায়াবিটিসের রোগী রয়েছেন। সিশু থেকে বৃদ্ধ ছাড় পাচ্ছেন না কেউই। এমনকী গর্ভবতী মায়েদের মধ্যেও কিন্তু বেড়েছে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের মূল অস্ত্র হল শরীরচর্চা এবং ডায়েট। মিষ্টির লোভে রাশ টানতেই হবে। সেই সঙ্গে অতরিক্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেটও কিন্তু এড়িয়ে চলতে হবে। কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলেই ওজন বাড়বে। আসবে একাধিক সমস্যা। সুগার বাড়লে কিন্তু কোনও খাবারই স্কিপ করা যাবে না। ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ, ডিনার সবই সময়ের মধ্যে করতে হবে। সেই সহ্গে চেষ্টা করতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার। যে কারণে ডায়াবিটিসের সমস্যায় বার বার ওটস খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। ব্রেকপাস্টে পেট ভরে ওটস খান। খেতেও লাগবে ভাল, সেই সঙ্গে শরীরের জন্য উপকারী।
ওটসের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ খিদে ভাব থেকে মুক্তি দেয়। থাকে জল ধরে রাখার মত ক্ষমতাও। আর ক্যালোরি একেবারেই নেই। ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু কী ভাবে খাবেন ওটস? দারুণ একটি রেসেপি শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ লরা বুরাক।
মুসুরের ডাল ভিদিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। ওটস গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। কড়াইতে সামানিয তেল দিয়ে গোটা জিরে, লঙ্কা, আদা বাটা আর ডাল দিয়ে কষতে থাকুন। স্বাদমতো নুন-চিনি দিন। এবার ওটস মিশিয়ে দিন। ওটস মিশিয়ে জল দিয়ে ফুটতে দিন। এবার ওর মধ্যে ডিমের দুটো সাদা অংশ নিয়ে ভেঙে মিশিয়ে দিন ভাল করে। এবার এর মধ্যে ড্রাইফ্রুটস ও মাখন দিন। উপর থেকে দারচিনির গুঁড়ো ছড়ান। ব্যাস, বাড়িতেই তৈরি ওটস মশলা ওটস।
টকদই ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে ওর মধ্যে পছন্দের ফল দিন। এবার ওতে ওটস, আমন্ড, কাঠবাদাম, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতেও কিন্তু শরীর ভাল থাকে।