AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Pickle For Health: ভাত কিংবা পরোটার সঙ্গে একটু আচার না হলে চলে না? ঠিক করছেন তো!

Pickle For Health: নিয়মিত আচার খেলে অন্ত্রের সমস্যা হয় না, কমে ওজনও। যে কারণে করিনা কাপুরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর নিয়মিত ভাবে পাতে এক চামচ আচার রাখার পরামর্শ দেন

Pickle For Health: ভাত কিংবা পরোটার সঙ্গে একটু আচার না হলে চলে না? ঠিক করছেন তো!
কেন খাবেন আচার জানুন
| Edited By: | Updated on: May 18, 2022 | 11:16 AM
Share

Benefits and side effects of Pickle: ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতিতে আচারের সঙ্গে যেমন অনেক গল্প জড়িয়ে আছে তেমনই আছে নস্ট্যালজিয়াও। বহু প্রাচীন কাল থেকেই আচার তৈরি হয় আমাদের দেশে। শীতের দুপুরে রোদে পিঠ দিয়ে আচার খাওয়া, কিংবা সন্ধেতে আমের আচার আর মুড়ি মাখা বাঙালির একটা নস্ট্যালজিয়া। শুধু বাঙালিরাই নন, পাঞ্জাবিরাও রুটি-পরোটার সঙ্গে আচার দিয়ে খেতে ভালোবাসেন। দক্ষিণ ভারতেও যে কোনও অনুষ্ঠানে পাতে পড়ে এক চামচ আচার। আম, লঙ্কা, রসুন, এঁচোড়, কুল, লেবু, চালতা সব কিছু দিয়েই হতে পারে আচার। বিভিন্ন মেলাতে এখনও আচার কিনতে লম্বা লাইন পড়ে। তবে আচারের কিন্তু একাধিক উপকারিতা থাকে। তবে আচার কিন্তু খুব বেশি খাওয়াও ঠিক নয়। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে।

আচার বানানোর সময় আম, আমড়া, চালতা কুমড়ো, কুল যাই হোক না কেন তা আগে হলুদ, নুন আরসামান্য লেবুর রস মাখিয়ে রাখা হয়। তারপর এর সঙ্গে মেশে তেল আর বিভিন্ন ভাজা মশলা। এই সব উপাদান মেশার কারণেই কিন্তু খেতে বেশ ভাল লাগে। আচার আমাদের শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে এডিসন রোগের কারণেই কিন্তু মানুষের মধ্যে আচার খাবার চাহিদা বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে- ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আচার খুবই ভাল। আচারের মধ্যে ক্যালোরি আর কার্বোহাইড্রেট কম থাকে। যে কারণে তা হজমেও সাহায্য করে। রক্তশর্করাও রাখে নিয়ন্ত্রণে। আচার এবং যে কোনও সংরক্ষিত ফল, সবজি রক্তে HbA1c-এর মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। ফলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তশর্করা।

ওজন কমাতে- আচারের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। যা ফ্যাটকে সহজেই ভেঙে দিতে পারে। আচার তৈরির সময় যে সব মশলা ব্যবহার করা হয় তা আমাদের যেমন হজমে সাহায্য করে তেমনই চর্বিও ভেঙে দেয় তাড়াতাড়ি। তাই ভাত, রুটি বা পরোটার সঙ্গে আচার খেতে বলা হয়। এতে মুখের স্বাদও ফেরে।

গর্ভাবস্থায় আচার- গর্ভবতী মহিলারাও আচার খেতে পছন্দ করেন। বরং গর্ভাবস্থায় আচার খাওয়ার দিকে ঝোঁক বাড়ে। প্রেগন্যান্সিতে অনেকেই মর্নিং সিকনেসে ভোগেন। আচার খেলে সেই সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও আচার খিদে বাড়ায়, হরমোনের উদ্দীপনা বাড়াতেও সাহায্য করে।

হজমের সমস্যায়- আচারের মধ্যে রয়েছে উপকারী প্রোবায়োটিক। যা আমাদের হজম করতে সাহায্য করে। থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাকটেরিয়া। তাই ডায়ারিয়া, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাতেও কাজ করে আচার। যাঁরা নিয়মিত গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন তাঁরা আচার খেলে উপকার পাবেন।

স্ট্রেস কমায়- মন ভাল রাখতেও দারুণ কাজ করে আচার। আর তাই নিয়মিত ভাবে আচার খেতে পারলে আমাদের মনও ভাল থাকে। উদ্বেগ কমে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। তাই আজ থেকেই আচার খাওয়া শুরু করুন। ফিরে পাবেন ছোটবেলা। ভাল থাকবে শরীর আর মন। তবে যাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েচে তাঁদের বেশি আচার না খাওয়াই কিন্তু ভাল।