Weight Loss: মাছ, মাংস, ডিম না পসন্দ? ওজন কমাতে প্রোটিনের চাহিদা মিটাবেন কোন খাবার দিয়ে?
Vegetarian Foods: ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সুতরাং, আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে।
ওজনকে বশে রাখা সহজ কাজ নয়। একবার ওবেসিটির ধাত চলে এলে, সহজে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না। আর সব সময় যে জিম করেই ওজন কমানো যায়, তা কিন্তু নয়। ওজন কমাতে গেলে অনেক কিছুর দিকেই নজর দিতে হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে জরুরি হয় খাওয়া-দাওয়া। সঠিক সময়ে খাওয়া থেকে শুরু করে সঠিক পরিমাণে খাবার খাওয়া জরুরি। আর এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তাছাড়া একদিনে ওজন কমানো যায় না। অর্থাৎ আপনি একমাসে ভাজাভুজি খাবার খেলেন না আর জমিয়ে জিম করলেন, এতে খুব বেশি উপকার পাবেন না। ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সুতরাং, আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং পুষ্টিবিদের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি মানসিক চাপও কমাতে হবে। কারণ মানসিক চাপের কারণেও অনেক সময় ওজন বেড়ে যায়।
শরীরকে ফিট রাখার জন্য ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন এই তিনটে পুষ্টিই জরুরি। কিন্তু অনেকেই এমন রয়েছেন যাঁরা মাছ, মাংস, ডিম ছুঁয়েও দেখেন না। আবার অনেকের মধ্যে এসব আমিষ খাবার বেশি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন নিরামিষ খাবার বেছে নিতে হবে, যা আপনার ওজন কমাবে এবং শরীর পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে। এমন কয়েকটি খাবারের খোঁজ এনেছি আমরা।
পালং শাক- শীতের মরশুমে ওজন কমানোর জন্য পালং শাকের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন। এক কাপ পালং শাকে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। তাছাড়া এর মধ্যে ভিটামিন এ, সি, কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার এবং আরও অন্যান্য মিনারেল ও পুষ্টি রয়েছে। পালং শাক শরীরে রোগের ঝুঁকি কমায় এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীতে আপনি পালং পনির, পালং শাকের স্যুপ, পালং শাকের চচ্চড়ি ইত্যাদি বানিয়ে খেতে পারেন।
আমন্ড- প্রতিদিন সকালে ৪-৬টি ভেজানো আমন্ড খান। আমন্ডের মধ্যে প্রোটিনের পাশাপাশি অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। এটি স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বক ও মানসিকের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। যোগব্যায়াম শুরু করার আগেও আপনি আমন্ড খেতে পারেন।
বিভিন্ন প্রকারের ডাল- মুগ, মুসুর, বিউলি, মটর— সব প্রকার ডালে প্রোটিন রয়েছে। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে এক বাটি ডাল আর এক বাটি সবজির তরকারি আপনার শরীরে দৈনিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে দিতে পারে। পাতে আর মাছ, মাংসের প্রয়োজন হবে না। আর সঠিক পরিমাণে খেলে এতে আপনার ওজনও কমে যাবে।
ছোলা- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় খিদে পেলে স্ন্যাকস হিসেবে চিপস, পকোড়ার মতো ভাজাভুজি খাবার খাচ্ছে। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে বেছে নিন ছোলা। কাঁচা ছোলার চাট কিংবা ছোলা ভাজাও আপনি খেতে পারেন। অঙ্কুরিত ছোলা স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এতে পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট , ফসফরাস রয়েছে যা ওজন ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।