International Tea Day 2021: আজও দিন শুরু করেছেন চায়ে চুমুক দিয়ে; আজকের দিনে এই চায়ের তাৎপর্য জানা আছে কি?

চা উৎপাদনকারী এমন অনেক দেশ আছে যেখানে শ্রমিকদের জীবিকার প্রধান মাধ্যম হল চা। এই স্বল্পোন্নত দেশের বহু পরিবার, বহু মানুষ  চা উৎপাদন এবং রপ্তানির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।

International Tea Day 2021: আজও দিন শুরু করেছেন চায়ে চুমুক দিয়ে; আজকের দিনে এই চায়ের তাৎপর্য জানা আছে কি?
আন্তর্জাতিক চা দিবস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2021 | 11:55 AM

২০১৯ সালের ২১ মে, জাতিসংঘ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এর আগে ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর, নয়াদিল্লিতে প্রথম আন্তজার্তিক চা দিবস পালিত হয়। সেই থেকেই ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, কেনিয়া, মালাউই, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং তানজানিয়ার মতো দেশগুলিতেও আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে আসছে।

চা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়। কিছু মানুষের কাছে চা তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি ভারতের মত দেশে দিন শুরু হয় চায়ে চুমুক দিয়ে। বর্তমানে চিন চায়ের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। ২০০৭ সালে টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণা অনুসারে, ভারতে উৎপাদিত মোট চায়ের প্রায় ৮০ শতাংশ দেশীয় জনসংখ্যা দ্বারা ভোগ করা হয়।

আন্তর্জাতিক চা দিবস: ইতিহাস

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৫,০০০ বছর আগে চিনে চা খাওয়া হয়েছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। গল্পটি হল যে চিনা সম্রাট শেন নুং প্রথম এই পানীয়টির স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন, যখন তিনি এবং তাঁর সৈন্যরা একটি গাছের নীচে আশ্রয় নিচ্ছিলেন এবং কিছু বায়ুপ্রবাহিত চা পাতা ফুটন্ত জলের পাত্রে পড়ে যায় এবং সেখান থেকে তৈরি হয় চা। এবং সেখান থেকে চা আজকের সর্বাধিক ব্যবহৃত পানীয়তে পরিণত হয়েছে।

খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩৭ সালে চিনে প্রথম আবিষ্কৃত চা এশিয়ার সংস্কৃতির একটি প্রধান হয়ে ওঠে, যেখানে এটি একটি পানীয় এবং রোগ নিরাময়ের ওষুধে পরিণত হওয়ার আগে ধর্মীয় আচারের একটি প্রতীকী অংশ ছিল। চিনের চা উৎপাদনের একচেটিয়া আধিপত্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য, ব্রিটিশরা প্রথম ১৮২৪ সালে ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চা ফসল চালু করে এবং তারপর থেকে, এটি দার্জিলিং, নীলগিরি এবং আসাম জুড়ে প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয় এবং দেশে ৯০০,০০০ টন চা উৎপাদিত হয় বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক চা দিবস: তারিখ

প্রথম আন্তর্জাতিক চা দিবস ২০০৫ সালে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে অন্যান্য চা উৎপাদনকারী দেশ – শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, কেনিয়া, মালাউই, মালয়েশিয়া, উগান্ডা এবং তানজানিয়া এই দিনটি উদযাপন করে। তবে ২০১৫ সালে ভারত সরকার জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেয়। জাতিসংঘের ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে উদযাপনের কারণ হচ্ছে চা উৎপাদনকারী অধিকাংশ দেশে মে মাসে চা উৎপাদনের মরসুম শুরু হয়।

আন্তর্জাতিক চা দিবস: তাৎপর্য

চা উৎপাদনকারী এমন অনেক দেশ আছে যেখানে শ্রমিকদের জীবিকার প্রধান মাধ্যম হল চা। এই স্বল্পোন্নত দেশের বহু পরিবার, বহু মানুষ  চা উৎপাদন এবং রপ্তানির মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে গ্রামীণ উন্নয়ন, দারিদ্র্য হ্রাস এবং খাদ্য সুরক্ষায় চা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই জাতিসংঘের মতে, চায়ের সঠিক উত্‍পাদন ও ব্যবহারের পক্ষে কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রচার ও উত্‍সাহিত করা , ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া ও সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এই দিবসের মূল লক্ষ্য।

আরও পড়ুন: তুলসী-গুড় স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, চা দিবসে ‘চিয়ার্স’ করুন এই চা রেসিপি দিয়ে!