Drinking Habits: সামান্য কিছু অভ্যাসের ভুলেই এই কয়েকটি চেনা পানীয় মুহূর্তের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়!

Detox Drink: শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ভাবে জল খাওয়ার পাশাপাশি খেতে হবে ডিটক্স ড্রিংকও। চা, কফি, হট চকোলেট বা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু খাওয়ার ভুলেই তাতে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা

Drinking Habits: সামান্য কিছু অভ্যাসের ভুলেই এই কয়েকটি চেনা পানীয় মুহূর্তের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়!
সঠিক নিয়ম মেনে পানীয় খেলে তবেই কমবে ওজন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 12, 2022 | 7:55 AM

শরীর সুস্থ রাখতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমাদের ভরসা বেশ কিছু পানীয় (Drink)। শরীরের জন্য রোজ ৭-৮ গ্লাস জল অন্তত খেতে তো হবেই। তবে তার পাশাপাশি অনেকেই চুমুক দেন বিশেষ এই কয়েকটি পানীয়তে (Detox Drink)। আর এই সব পানীয় কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। অনেকেই দিনের শুরু করেন এক গ্লাস অ্যাপেল সিডার ভিনিগার দিয়ে। এরপর কফি, গ্রিন টি, চা এসব চলতেই থাকে সারাদিন ধরে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এনার্জির অনেকটাই কিন্তু আসে এই সব পানীয় খেতে। এছাড়াও শরীরের জন্যও এই সব পানীয় ভাল। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, হজমের উন্নতি ঘটায় তেমনই গ্রিন টি- এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর রাখে সুস্থ।

সেই সঙ্গে মেটাবলিজম বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও অ্যালঝাইমার্স, ডায়াবিটিস ঠেকাতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে গ্রিন টি-এর। কিন্তু এই সব পানীয়র উপকারিতা নির্ভর করে খাওয়ার উপর। যে ভাবে পান করবেন সেই ভাবেই শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। রোজকার রুটিনে এই সব পানীয়ের ভূমিকাও অনেকখানি। কিন্তু খাওয়ার সামান্য ত্রুটির জন্যই কিন্তু তা শরীরের উপকারে লাগার বদলে অপকার করে। সেই সঙ্গে ঘুমের সমস্যার ব্যাঘাত ঘটে, অতিরিক্ত ওজন বাড়ে এবং সঙ্গে আসে ডায়াবিটিসের মত সমস্যাও।

১.অনেকেই অতিরিক্ত কফি খান। এতে কিন্তু প্রভাব পড়ে শরীরে। ঘুম ঠিকমতো হয় না। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল স্লিপ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে, ঘুমোতে যাওয়ার ৬ ঘন্টা আগে কফি খেলেও কিন্তু এই একই সমস্যা হতে পারে। আর তাই লাঞ্চের পর কফি না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

২.অনেকেই দিনের শুরু করেন গ্রিন-টি দিয়ে। অর্থাৎ খালি পেটেই চা খান। কিন্তু খালি পেটে গ্রিন টি খেলে তার তেমন উপকারিতা পাওয়া যায় না। গ্রিন-টি এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে খাওয়া-দাওয়া সেরে তারপরেই খান গ্রিন টি। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্যামোমাইল চা খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। এতে ঘুম ভাল হয়।

৩.চায়ের কাপের সঙ্গেও কিন্তু শরীরের সম্পর্ক রয়েছে। যাঁরা প্রতিদিন ৭০০ মিলি-এর বেশি চা খান এবং ১৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের থেকে বেশি তাপমাত্রার চা খান তাঁদের মধ্যে খাদ্যনালীর ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।

৪.অনেকেরই হট চকোলেট খুব পছন্দ। কিন্তু শরীর বুঝে পরিমাণ মতো কোকো পাউডার, চিনি, দুধ ব্যবহার করুন। নইলে পড়তে পারেন একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায়।

৫.আজকাল অনেকেই বিভিন্ন ভেষজ পানীয় খান। যার মধ্যে থাকা পলিফেনল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। অনেকেই শুধু ইষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে খান। কিন্তু এভাবে তা খেতে মানা করছেন চিকিৎসকরা। কারণ এতে থেকে যায় কোলাইটিসের সম্ভাবনা। আর তাই মধু এবং দারচিনি গুঁড়ো কিংবা ম্যাপেল সিরাপ মিশিয়ে খান এই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার।