Meat Side Effects: সপ্তাহান্তে খাসির মাংসের কষা ছাড়া চলে না? নিজের কী ক্ষতি করছেন, জানেন?
Red Meat: বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, রেড মিট বা মুরগির মাংসও যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
মাংস (Meat) খাওয়ার সঙ্গে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা জড়িত। এতে রয়েছে এমন পুষ্টি উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এবং মিনারেলগুলো ভাল পরিমাণে মাংসে পাওয়া যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার পাশাপাশি মাংস আমাদের শরীরের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাংস প্রোটিন (Protein) এবং কার্বোহাইড্রেটের একটি ভাল উৎস, তাই এটি ক্রীড়াবিদ এবং ফিটনেস প্রেমীদের প্রথম পছন্দ। তবে মাংস খেলেও স্বাস্থ্যের অনেক মারাত্মক ক্ষতিও (Side Effects) হতে পারে। অত্যধিক পরিমাণে মাংস খাওয়ার ফলে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি দেখা যায়, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি। বিশ্বজুড়ে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, রেড মিট বা মুরগির মাংসও যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
তাছাড়া এটা বিশ্বাস করা হয় যে মাংস খাওয়ার কারণে কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। সেখান থেকে বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। যাঁরা নিয়মিত রেড মিট খান, তাঁদের পক্ষে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা কঠিন। অতিরিক্ত পরিমাণে মাংস খেলে কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, মাংস খাওয়া কমিয়ে দিলে আমরা কোন কোন রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারি।
প্রায় ১৫টি গবেষণার পর গবেষকরা জানিয়েছেন যে, কীভাবে নিরামিষ খাদ্য আপনার ওজনের প্রভাব ফেলে। যারা প্ল্যান্ট বেসড ডায়েট করেন, তাঁরা সহজেই ১০ পাউন্ড ওজন কমিয়ে ফেলেন। কিন্তু যাঁরা বেশি পরিমাণে মাংস খান, তাঁদের মধ্যে এটা লক্ষ্য করা যায় না।
মাংস এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি খাবার সীমিত পরিমাণে খেলে এটি আপনার রক্তে খারাপ বা এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট প্রতিদিন আপনার ক্যালোরির ১০% এর কম হওয়া উচিত।
প্রক্রিয়াজাত মাংসের ব্যবহার সরাসরি অন্ত্রের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। এর কারণে পেট সংক্রান্ত নানা রোগ হতে পারে। পাকস্থলী এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে আপনার উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার খাওয়া উচিত।
গবেষকরা রেড মিট এবং প্রক্রিয়াজাত মাংসকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সঙ্গে যুক্ত করেছেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, দিনে অর্ধেক পরিমাণ রেড মিট খেলে রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৪৮% বেড়ে যায়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে যে প্রক্রিয়াজাত এবং রেড মিট উভয়তেই স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি এবং এতে প্রদাহ হতে পারে। এটি ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে রয়েছে বেকন, ডেলি মিট এবং হট ডগ। রেড মিটের মধ্যে রয়েছে খাসির মাংস, গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস এবং ভেড়ার মাংস।
আরও পড়ুন: গরমে স্বস্তি পেতে ফোয়ারা তুলুন বিয়ারে! ‘কুল’ হতে ক’ বোতল পান করবেন?