Vitamin D Rich Food: হাঁটু মুড়ে নীচে একবার বসলে আর উঠতে পারেন না? তালিকায় রাখুন এই সব খাবার
Vitamin D: হাঁটুর সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। একবার হাঁটু মুড়ে বসে পড়লে অনেকেই উঠতে পারেন না। হাঁটু রিপ্লেসমেন্ট করেও যে সব সময় বিশেষ কাজ হয় এরকমও কিন্তু নয়
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব রসদ আসে খাবার থেকেই। তার উপর নির্ভর করে যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। তাই নজর দিতে হবে রোজকারের জীবনযাত্রায়। রোজ আপনি কী কী খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে সুস্থ থাকা। রোজ যদি তেলমশলা, ফ্যাট জাতীয় খাবার খান তাহলে শরীর অসুস্থ হবেই। আসবে একাধিক জটিলতাও। আর ডায়েটে ভুল ত্রুটির জন্যই কিন্তু জয়েন্টের বিভিন্ন সমস্যা বাড়ে। আজকাল অধিকাংশই মানুষই ভুগছেন হাঁটুর ব্যথায়। নীচে বসে খাওয়ার অভ্যাস বহুকাল আগেই ঘুচে গিয়েছে। নীচে বসে সবজি কাটা, পুজো করা, মশলা বাটা এসবও করতে পারেন না অনেকে। সকালে ঘুম থেকে উঠতে গিয়ে যেমন হাঁটুতে টান ধরে তেমনই একবার বসে গেলে উঠে দাঁড়াতে সমস্যা হয়। ছেলে-মেয়ে নির্বিষেশে সকলেই এই সমস্যায় ভুগলেও মেয়েদের মধ্যে সমস্যা অনেক বেশি জটিল।
মেয়েদের মধ্যে ক্যালশিয়াম আর ভিটামিন ডি-এর অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যয়ায়। কোভিড পরবর্তী কালে ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি জনিত সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। শরীরে বিভিন্ন ভিটামিনের বিশেষ বিশেষ কাজ রয়েছে। হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে জরুরি হল ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব হলেই জয়েন্ট পেইনের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে হাড়, দাঁত এসব দুর্বল হয়ে যায়। প্রদাহ জনিত সমস্যা বাড়ে। মেটাবলিজম কমে যায়। ব্রেস্ট ক্যানসার, অবসাদ বাড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিন ডি এর। তাই যে সব খাবার অবশ্যই রাখবেন রোজকার ডায়েটে
ডিম খান- রোজ একটা করে ডিম অবশ্যই খাবেন। ডিমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমনাণ পুষ্টি। ভাজা কিংবা পোচ খাওয়ার থেকে সিদ্ধ খাোয়াই ভাল। এতে শরীর বেশি পুষ্টি পায়। ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি। দিনে একটার বেশি কুসুম কিন্তু নয়। তবে হার্টের সমস্যা থাকলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান। নইলে বাড়তে পারে কোলেস্টেরল।
ছোট মাছ- ছোট মাছের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। থাকে ভিটামিন ডি। রোজ ডিম না খেলেও ছোট মাছ খেতে ভুলবেন না। গরমের দিনে নদী বা পুকুরের ছোট মাছ খেতেও লাগে ভাল। মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আমাদের জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
দুধ- দুধের মধ্যেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি। থাকে ক্যালশিয়াম। যে কারণে রোজ এক গ্লাস করে দুধ খান। দুধ খেতে সমস্যা হলে ছানা কাটিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও চলতে পারে মাখন, ঘি। তবে একেবারেই অল্প পরিমামএ। যাঁরা দুধ খেতে পারেন না তাঁরা সোয়াবিন বেশি করে খান। খেতে পারেন সোয়া বীজও। এতেও ওমেগা-৩ এর ঘাটতি মেটে।