Protein rich food: সংক্রমনের সময় ও করোনা থেকে সেরে উঠে কেন প্রোটিন খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা? গুরুত্বই বা কি?

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়ম করে প্রোটিন অবশ্যই রাখবেন। প্রোটিন আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তিও দেয়। বাড়ছে কোভিড, ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ। সুস্থ থাকতেই এখন রোজ খান প্রোটিন

Protein rich food: সংক্রমনের সময় ও করোনা থেকে সেরে উঠে কেন প্রোটিন খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা? গুরুত্বই বা কি?
এই সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 10, 2022 | 5:38 PM

ছোট্ট এই ভাইরাসকে মোটেই চোখে দেখা যায় না, কিন্তু এর প্রভাবেই কাঁপছে বিশ্ব। গত তিন সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলেছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। কোভিডের উপসর্গ আর সাধারণ জ্বর-সর্দি ফ্লু এর লক্ষণের মধ্যে কিন্তু তেমন কোনও ফারাক নেই। বাড়িতে বাড়িতে সর্দি-জ্বর। এবার এই সব জ্বর-সর্দি নিয়েও কিন্তু অনেকেই পরীক্ষা না করিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে নিজেরাও বুঝতে পারছে না কে আক্রান্ত। যে কারণে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। অনেকেই সুরক্ষিত থাকতে আগে ভাগেই বাজার চলতি বিভিন্ন ভিটামিন সাপ্লিমেন্টস কিনে এনে খাচ্ছেন। কিন্তু সুস্থ থাকতে জোর দিতে হবে খাবারে।

কোভিড হানা দিলে শরীরকে সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কিন্তু শক্তির প্রয়োজন। ভাইরাস প্রতিবার মিউট্যান্ট করে তার নিজের রূপ বদল করেছে। যে কারণে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে শরীরে শক্তি যথাযথ প্রয়োজন। আর এই শক্তি কিন্তু আসে খাবার থেকে। এই সময় কোনও রকম ডায়েট নয়। ভাল করে খেতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে বাড়তে পারে শারীরিক ঝুঁকি। সেই সঙ্গে ভাইরাল সংক্রমণের জন্য শরীরে পুষ্টিকরও প্রয়োজন। অপুষ্টির শিকার হলে কিন্তু সেরে উঠতেও সময় লাগে। কোভিডে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি হয়। শক্তি ক্ষয় হয়। আর তাই কোভিড হলে কিংবা কোভিড থেকে সেরে ওঠার সময় কিন্তু বেশি করে প্রোটিন খাওয়ার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে প্রোটিন শরীরের বিভিন্ন ব্লকেজ সারাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোশের মেরামত করে নতুন কোশ গঠনে সাহায্য করে।

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রোটিনের ঘাটতি হলে শরীরে কিন্তু রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিম্ফয়েড টিস্যুও। যে কারণে কিন্তু শরীরে করোনা আক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রোটিনের অভাব হলে শুধুই যে করোনার আক্রমণ হতে পারে তা নয়, আসতে পারে আরও একাধিক সমস্যা। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক বা কোভিড সেরে ওঠার সময় শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে এই সময় ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করা কিন্তু খুবই জরুরি।

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন ০.৮ মিলিগ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। তবে কোভিড রোগীদের ক্ষেত্রে কিন্তু প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন কতটা পরিমাণ প্রোটিন খাবেন তা অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। মাংস, মাছ, দুধ, শিম, মুসুর ডাল, ডিম, বাদাম এবং গোটা শস্যদানা থেকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়। আর এই পুষ্টি আমাদের দেহ গঠনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শস্যদানায় থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা আমাদের খাবার হজমেও কিন্তু সাহায্য করে। এছাড়াও রোজ নিয়ম করে দুধ, সবজি, স্যালসাড, ডিম সিদ্ধ এসব কিন্তু অবশ্যই খাবেন।