Diabetes: তুলসী পাতার গুণে বাড়বে না আর সুগার! বলছে আয়ুর্বেদ
Ayurvedic Tips: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীর দুটো পাতা চিবিয়ে খেলে সুগার থাকবে দশ হাত দূরে।
আগেকার দিনে বাড়ির উঠোনে তুলসী মঞ্চ থাকত। এখন বাড়ির উঠোন বলতে আর কিছু নেই। রয়েছে শুধু একফালি বারান্দা। তাতেই যত্ন ছাড়া বেড়ে উঠছে ছোট্ট তুলসী গাছ (Tulsi)। তুলসী গাছের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব পুরোপুরি না হারালেও তুলসী পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে খুব মানুষই সচেতন। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে তুলসী পাতার জুড়ি মেলা ভার। আর এই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে আয়ুর্বেদেও। সাধারণত, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশির মতো ভাইরাস গঠিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতার কাড়া খাওয়ার উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই টোটকা কাজেও আসে একশো শতাংশ। কিন্তু আপনি কি জানেন ব্লাড সুগার লেভেলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই ভেষজ উদ্ভিদ?
বর্তমানে যে ভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, তাতে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এমন বিকল্প বেছে নিতে হবে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যকেও উন্নত করবে। ডায়াবেটিস হচ্ছে এমন একটি লাইফস্টাইল ডিজ়িজ যা সুনির্দিষ্ট কোনও নিরাময় নেই। ব্লাড সুগার লেভেল বেড়ে গেলে জীবনধারা নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করে যেতে হয়। স্বাস্থ্যকর জীবনধারাই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ উপায়। এছাড়াও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। তেমনই একটি খাবার হল তুলসী পাতা।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তুলসীর দুটো পাতা চিবিয়ে খেলে সুগার থাকবে দশ হাত দূরে। আর যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে এই ভেষজ উদ্ভিদ। এছাড়াও আপনি আরও ভিন্ন উপায়ে তুলসী পাতাকে ডায়েটে যোগ করতে পারেন। আগের দিন রাতে পাঁচটা তুলসী পাতা এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ওই জল পান করুন। এতে শরীরের সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে।
সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে আপনি তুলসী পাতার চা তৈরি করেও পান করতে পারেন। এর জন্য তিন কাপ জল সসপ্যানে গিয়ে গরম বসান। এতে কয়েকটা আদার কুচি, ১৫টা তুলসী পাতা আর দু’চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন। জল ফুটে উঠলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এরপর জলটা ঝেঁকে তাতে স্বাদ অনুযায়ী মধু মিশিয়ে পান করুন। এই চা ডায়াবেটিসের পাশাপাশি সর্দি কাশির সমস্যাকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
এছাড়াও গরম জলে শুধু তুলসীর পাতা ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। তুলসী পাতার চা কিংবা জলে লিভারের সমস্যাও দূর হবে। দারুচিনির গুঁড়োর সঙ্গে আদার রস ও তুলসী পাতা ফুটিয়েও পান করতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে দ্রুত।