Sunday Special Trip: কালবৈশাখীর বিকেলে লং ড্রাইভে যেতে চান? রবিবারের ঠিকানা হোক গাদিয়াড়া

Gadiara: নদী তীরের এই নিরিবিলি পরিবেশ, সবুজ গাছগাছালি এবং পাখিদের কলরব- এরই টানে ছুটির দিনে ভিড় জমান পর্যটকেরা।

Sunday Special Trip: কালবৈশাখীর বিকেলে লং ড্রাইভে যেতে চান? রবিবারের ঠিকানা হোক গাদিয়াড়া
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সেজে উঠেছে হাওড়ার গাদিয়াড়া...Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 12:12 PM

Howrah: অবশেষে দেখা মিলল বৃষ্টির। তীব্র গরমের পর স্বস্তির রেহাই। শনিবার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পর রবিবারের আবহাওয়া একটু অন্যরকম। অন্য দিনের তুলনায় গরম একটু কম। তার উপর আজকে ছুটির দিন। সুতরাং, এই সুযোগে একটু লং ড্রাইভে (Short Trip) গেলে মন্দ হবে না। বিকেলটাকে আরও মনোরম করে তুলতে ঘুরে আসুন হাওড়ার গাদিয়াড়া থেকে। রাজ্য সরকারের (West Bengal Tourism) উদ্যোগে আরও আকর্ষণীয় ভাবে সেজে উঠেছে হাওড়ার গাদিয়াড়া। শহুরে কোলাহল ছাড়িয়ে, নিরিবিল প্রান্তরে দু’ দণ্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন এখানে। নদী তীরের এই নিরিবিলি পরিবেশ, সবুজ গাছগাছালি এবং পাখিদের কলরব- এরই টানে ছুটির দিনে ভিড় জমান পর্যটকেরা।

গাদিয়াড়া হাওড়া, হুগলি, কলকাতার শহুরে মানুষদের কাছে খুব একটা অপরিচিত জায়গা নয়। সাধারণত শীতের মরসুমে বনভোজনের জন্য অনেকেই বেছে নেন গাদিয়ারাকে। কিন্তু আমফান ও ইয়াসে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই অঞ্চল। রাজ্য সরকারের সহায়তায় আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। নতুন করে সাজানো হয়েছে। গ্রীষ্মের বিকালে কালবৈশাখী আসার আগে হাওয়া খেতে যেতে পারেন নদীর ধারে।

যেহেতু কলকাতা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, তাই একদিনেই ঘুরে আসা গাদিয়াড়া। সময় লাগে মাত্র দেড় ঘণ্টা। আর যদি হাওড়া থেকে যান তাহলে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত গাদিয়াড়া। হাওড়া থেকে ট্রেনেও যাওয়া যায়। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে নামতে হবে বাগনান স্টেশনে।

রূপনারায়ণ, ভাগীরথী এবং হুগলি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়ার বরাবরই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এর পশ্চিম দিকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি। দক্ষিণ দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর ও রায়চক। আর যদি হাতে সময় নিয়ে যান তাহলে নদী পেরিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়ি থেকেও। আর যদি শুধুই লং ড্রাইভের জন্য পারি দেন তাহলে ৩০ কিলোমিটার দূরে ঘুরে আসা যায় গরচুমুকু।

প্রায় তিন দশক ধরে এই পর্যটন কেন্দ্রটি জনপ্রিয় বাঙালির কাছে। তিন নদীর মিলনস্থল, সুতরাং নদীবক্ষ বেশ চওড়া। নদীর সঙ্গমে নৌকা করে ভ্রমণেরও সুযোগ রয়েছে। যেমন শান্ত পরিবেশ, তেমনই বয়ে শীতল হাওয়া। বিকালে রূপনারায়ণ, দামোদরের ধারে বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগবে বলুন তো! শান্ত বিকেলে নদীর তীরে বসে সূর্যাস্ত দেখা- ব্যস্ত জীবনযাত্রার মধ্যে এটাই তো ভাল লাগা।

আরও পড়ুন: নামমাত্র দার্জিলিং, উত্তরকন্যার অফবিট ভ্রমণে বাঙালিদের এত হিড়িক কেন?

আরও পড়ুন: সুহানা সফরে সঙ্গী হোক তিস্তা! ন্যাওড়াভ্যালির কোলে ছুটি কাটান সাংসেরে

আরও পড়ুন: গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে পাড়ি দিন পাহাড়ে! দেবভূমির ৫টি জায়গা ঘুরে আসুন মাত্র ৫০০০ টাকায়