West Sikkim: মাথা তুলে কাঞ্চনজঙ্ঘা! রিনচেনপংয়ের হোমস্টেতে বসেই দিনরাত তার দর্শন
Rinchenpong: ৫৫৭৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি জনপদ এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউয়ের জন্য পর্যটকদের মধ্যে পরিচিত।
বাঙালির দী-পু-দা এর বাইরেও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে যারা বছর ভিড় করে পর্যটকেরা (Tourism)। সেটা হল প্রতিবেশী রাজ্য সিকিম। দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য দেখা গেলেও আরেকটু কাছে যাওয়ার অজুহাতে সিকিমে (Sikkim) বার বার ছুটে যায় পর্যটকেরা। কিন্তু সিকিমের সব জায়গা থেকে যে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য দেখা যায়, তা নয়। এই ক্ষেত্রে পশ্চিম সিকিমের পাহাড়ি গ্রামগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। এর মধ্যে রয়েছে রিনচেনপং।
৫৫৭৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি জনপদ এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউয়ের জন্য পর্যটকদের মধ্যে পরিচিত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রিনচেনপংয়ের দূরত্ব মাত্র ১২৮ কিলোমিটার। পেলিং হয়ে রিনচেনপং পৌঁছালে সময় লাগবে আরও কম। সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পেলিং থেকে এই জনপদের দূরত্ব মাত্র ৪৫ কিলোমিটার।
এখানে নেই শহুরে কোলাহল, দূষণ। রয়েছে ওক, পাইন দেবদারুর সমাহার। সামনে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য। নাম না জানা রঙ-বেরঙের পাখিদের কলরব। সবুজ গালিচা। সব কিছু নিয়ে রিনচেনপং হল একটি মায়াবী স্বপ্নের নাম। রিনচেনপং থেকে কাছেপিঠে দেখবার অনেক জায়গা রয়েছে। রিনচেনপং থেকে তিন কিলোমিটার দূরতবে রয়েছে কালুক গ্রাম। এটিও রিনচেনপংয়ের মতোই শান্ত একটি গ্রাম।
রিনচেনপংয়ের থেকে পাকদণ্ডী পথ ধরে ঘণ্টা দেড়েকের ছোট্ট ট্রেক করে পৌঁছে যেতে পারেন রিশম মনেস্ট্রি। এটি আঠারোশো শতকের মনাস্ট্রি। রিনচেনপংয়ে রয়েছে গুরুং মনেস্ট্রিও। রিশম মনেস্ট্রি থেকে পাহাড়ের দৃশ্যও অসাধারণ। রিনচেনপংয়ে এই জায়গাটি ম্যাগি দাড়া নামে পরিচিত। এখান থেকে ঘুরে আসা যায় পয়সন লেকও। কথিত রয়েছে, এই হ্রদ নাকি ভুতুড়ে। আঠারোশোর শতকে ব্রিটিশদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা ওই হ্রদের জলে বিষ মিশিয়ে দেয়। সেই থেকেই নাকি এই হ্রদের নাম পয়সন লেক।
এছাড়াও এখান থেকে পেলিং, প্রেমায়েন্সি মনাস্ট্রি, কাঞ্চনজঙ্ঘা ফলস, রিম্বি ফলস, দরাপ ভিলেজ, চাঙ্গে ওয়াটার ফলস্, সিংসোর ব্রিজ, খেচিপেরি লেক, ছায়াতাল লেক, শ্রীজুঙ্ঘা টেম্পল, হি ওয়াটার গার্ডেন সবই ঘুরে আসা যায় একদিনের সফরে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল রাবডেনটসে রুইনস। বর্তমানে পেলিংয়ের স্কাইওয়াক পর্যটকদের মধ্যে আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে। সেটাও ঘুরে আসতে পারেন রিনচেনপং থেকে। ১৩৭ ফুটের দৈত্যাকার চেনরিজ স্ট্যাচু দেখার সুযোগ রয়েছে।
কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন-
হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে ট্রেপে চেপে চলে যান নিউ জলপাইগুড়ি। এখান থেকে রিনচেনপং যাওয়ার জন্য গাড়ি পেয়ে যাবেন। জোড়থাং হয়ে রিনচেনপং গেলে সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। থাকা, খাওয়া মিলিয়ে এই সব হোমস্টের খরচ ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু।