International Flights: মার্চ থেকেই স্বাভাবিক হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
International Arrivals: কোভিডের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শের পরে, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
করোনার (COVID 19) দাপট কমতেই ফের চারিপাশ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলতি বছরের শুরুতেই করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের (Omicron) দাপটে গোটা বিশ্বে ফের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। যে সমস্ত দেশগুলিতে শক্তি বাড়াচ্ছিল এই ওমিক্রন, তাদের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের আওতায় রেখেছিল কেন্দ্র। কাটছাঁট করা হয়েছিল সমস্ত আন্তর্জাতিক উড়ানে(International Flights)। তবে বর্তমান পরস্থিতির উপর ভিত্তি করে ফের স্বাভাবিক হতে চলেছে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা।
জানা গিয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৫ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, আগের মতোই নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে নিয়মিতভাবে ফের চালু হতে পারে আন্তর্জাতিক উড়ান। তবে কোভিড সতর্কতা মেনে একাধিক সাবধানতা অবলম্বন করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে পরামর্শের পরে, অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অসামরিক বিমান চলাচল অধিদফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, আগামী ১৫ মার্চ থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলি চালু হলেও ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক আগমনের নির্দেশিকাগুলি এখনও এই ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য বিমানবন্দরগুলিতে অনুসরণ করা হবে।
বর্তমানে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, ভারত থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান পরিষেবার উপর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশকিছু লাগাম রয়েছে । অর্থাৎ পুরনো শিডিউল মেনে বিমান যাতায়াত করছে না । কোভিডের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকেই এই বিধিনিষেধ জারি রয়েছে । ২০২০ সালের জুলাই থেকে এয়ার বাবল ব্যবস্থার অধীনে ভারত এবং প্রায় ৪০ টি দেশের মধ্যে বিশেষ যাত্রীবাহী উড়ান পরিষেবা চালুর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি,আন্তর্জাতিক আগমনকারীদের জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক এবং অষ্টম দিনে যাত্রীদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলিও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।